
জশ ক্রাল্কা বাড়িতে বসে কাজ করছিলেন। একটি ভার্চুয়াল বৈঠকে অংশগ্রহণের সময়ই সদর দরজায় কিছু একটা ঘটার নোটিফিকেশন পান ফোনে। ডোরবেল ক্যামেরার ভিডিও পরীক্ষা করে কানাডা পোস্টের এক কর্মীকে বাড়ির দিকে আসতে দেখেন এবং মেইলবক্সে কিছু একটা ফেলেন।
অধিকাংশ সময়ই বাড়িতে বসে কাজ করা আলবার্টার রেড ডিয়ারের বাসিন্দা ক্রাল্কা বৈঠক শেষ হওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন এবং তার মতে রেখে যাওয়া প্যাকেজটি সংগ্রহের জন্য বেজমেন্ট থেকে দৌঁড়ে সেখানে যান। কিন্তু নোটিশে বলা হয়, পরদিন একটি ওষুধের দোকান থেকে পার্সেলটি সংগ্রহ করা যাবে।
মেইল ক্যারিয়ার কেন দরজায় কড়া নাড়লেন না বা বেল বাজালেন সেটা ভেবেই হতবাক হয়ে যান ক্রাল্কা। ড্রাইভওয়েতে দুটি গাড়ি ছিল এবং তার স্ত্রীও সে সময় বাড়িতেই অবস্থান করছিলেন।
ক্রাল্কা বলেন, ইম কিছু দ্বিধান্বিত। বাইরে এসে মেইল বক্সের দিকে তাকিয়ে আমার মনে হয়েছিল পার্সেলটি হয়তো আকারের অনেক বড়। আগে থেকেই লিখিত একটি ডেলিভারি স্লিপ সেখানে পাওয়া যায়।
ক্রাল্ক তার অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, বিষয়টি একেবারেই অবাক করার মতো। একই সঙ্গে হতাশাজনকও। তার বিশ^াস, ক্যারিয়ার আসার আগেই নোটিশটি লেখা হয়েছিল। আমি বলতে চাইছি, যেটা আমাকে হতাশ করেছে তা হলো আমার দরজায় দাঁড়িয়ে তিনি সেটি লেখেননি। সবকিছু আগে থেকেই হাতে করে নিয়ে তার দরজার দিকে আসার ভিডিও ফুটেজ আমার কাছে আছে।
নোটিশটি হাতে নিয়ে ক্রাল্কা তার গাড়িতে চেপে বসেন এবং ক্যারিয়ার ও তার প্যাকেজটি ধরার সিদ্ধান্ত নেন। এতে বেশি সময় লাগেনি। কয়েকটি রাস্তার পরই কানাডা পোস্টের ডেলিভারি ভ্যান পার্ক করা ছিল। ক্রাল্কা জানতে চাইলেন, কেন তার প্যাকেজটি মেইল বক্সে ফেলা হয়নি এবং কেন মেইল ক্যারিয়ার বাড়িতে কেউ আছে কিনা তা জানার চেষ্টা করেননি? তিনি বলেন, আমি মূলত তার মুখোমুখি হতে চেয়েছিলাম। বলতে চেয়েছিলাম যে, আমার পার্সেলটি কোথায়?
ছোট বক্সটি হস্তান্তর করার আগে ওই কর্মী ক্ষমা চাইবেন এমনটাই মনে করেছিলেন ক্রাল্কা। তবে কানাডা পোস্ট ক্রাল্কার কাছে ক্ষমা চেয়ে বলেছে, তাদের উদ্বেগের বিষয়টি তারা রেড ডিয়ারের পরিচালন দলের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে।
এক ইমেইল বিবৃতিতে কানাডা পোস্ট বলেছে, এই পরিস্থিতির জন্য আমরা আমাদের গ্রাহকের কাছে ক্ষমা চাইছি। গ্রাহক পার্সেলটি গ্রহণ করলেও ওই কর্মী যখন নির্দিষ্ট ঠিকানায় গিয়েছিলেন তখনই সেটি সরবরাহ করা উচিত ছিল।
কানাডা পোস্ট বলেছে, কোভিড-১৯ মহামারির আগে তাদের পার্সেল সরবরাহের হিস্যা ৬২ শতাংশ থাকলেও ২০২৩ সালে তা ২৯ শতাংশে নেমে এসেছে। পার্সেল ও ট্রানজেকশন মেইল থেকে রাজস্ব গত বছল নেমে এসেছে ২১ কোটি ৭০ লাখ ডলারে।