18 C
Toronto
শনিবার, মে ৪, ২০২৪

কলেজে ভুয়া ভর্তির ঘটনায় দেশে ফেরত পাঠানোর আদেশ

কলেজে ভুয়া ভর্তির ঘটনায় দেশে ফেরত পাঠানোর আদেশ
কারামজিত কাউর নামে ২৫ বছর বয়সী ওই নারীকে ২৯ মের মধ্যে দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ইমিগ্রেশন অ্যান্ড রিফিউজি বোর্ড অব কানাডা

ভুয়া ভর্তির ঘটনায় এডমন্টনের এক নারী কানাডা থেকে বহিস্কারের মুখে রয়েছেন। পাঁচ বছর আগে কানাডায় আসতে সংগৃহীত কলেজ ভর্তির চিঠি জাল প্রমাণিত হওয়ার পর কানাডা ছ্ড়াতে হচ্ছে তাকে।

কারামজিত কাউর নামে ২৫ বছর বয়সী ওই নারীকে ২৯ মের মধ্যে দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ইমিগ্রেশন অ্যান্ড রিফিউজি বোর্ড অব কানাডা।

- Advertisement -

আরও যে অসংখ্য আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ভারতের একই এজেন্টের কাছ থেকে একইরকম ভুয়া ভর্তির অনুমতিপত্র নিয়েছেন তাদের জন্য এই সিদ্ধান্ত একটা কড়া বার্তা। এটা যে বর্ডার অ্যান্ড ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে অবহেলা বলে উল্লেখ করেছেনআইনজীবী ও অধিকারকর্মীরা।

কাউরের দরিদ্র পরিবার সর্বস্ব বিক্রি করে তাকে কানাডায় পাঠিয়েছে, যাতে করে তিনি পরিবারের প্রথম সদস্য হিসেবে বিদেশে পড়ালেখা ও কাজ করার সুযোগ পান। এডমন্টনের একটি কোম্পানিতে সুপারভাইজর হিসেবে বর্তমানে কাজ করছেন তিনি। বিয়েও করেছেন একজন কানাডিয়ান নাগরিককে। নভেম্বর পর্যন্ত তার ওয়ার্ক পারমিট রয়েছে এবং স্থায়ী বাসিন্দা হওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

কাউরের মামলাটি পরিচালনা করছেন নন্দ অ্যান্ড কোম্পানি ল ফার্মের অবনীশ নন্দ। তিনি বলেন, কাউরের মতো মানুষদেরই কানাডার প্রয়োজন। তার অবদান অনেক এবং তার মতো প্রতিশ্রুতিশীল তরুণদেরই কানাডার প্রয়োজন।

শিক্ষার্থী ভিসার জন্য টরন্টোর সেনেকা কলেজের ভর্তির চিঠিটি ভুয়া প্রমাণিত হয় ২০২১ সালে। কাউর স্থায়ী বাসিন্দার আবেদন করলে তার চিঠিটি যে ভুয়া ছিল তা তাকে জানিয়ে দেয় কানাডা বর্ডার সার্ভিসেস এজেন্সি।

কাউর বলেন, কানাডায় আসার পর সেনেকায় তার আসনটি নেই বলে ভারতের এজেন্ট জানিয়ে দেয়। এরপর এডমন্টনের নরকুয়েস্ট কলেজে ভর্তি হয়ে ২০২০ সালে বিজনেস অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্টেশন ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রামে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।

তিনি বলেন, আমরা ভেবেছিলাম কানাডার ভিসা প্রক্রিয়াকরণ প্রক্রিয়া খুবই কঠোর এবং সবকিছু যাচাই বাছাই করেই তারা ভিসা দিয়েছে। কিন্তু এটা শোনার পর আমি সত্যিই অবাক হয়েছি। আমি পাঁচ বছর ধরে এখানে আছি। কানাডাই এখন আমার দেশ।

নন্দ বলেন , কানাডা এবং ভারত উভয় দেশের অভিবাসন কর্মকর্তারাই কাউরের কলেজ ভর্তির চিঠি বৈধ বলে বিশ^াস করেছিলেন।
একই এজেন্ট কানাডার পোস্ট-সেকেন্ডারি স্কুলগুলোতে আরও ৭০০ শিক্ষার্থীর নামে জাল ভর্তি ঠিঠি ইস্যু করেছে। এজেন্টটি এখন ভারতে অভিযোগের মুখে রয়েছে।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles