14.5 C
Toronto
শুক্রবার, মে ৩, ২০২৪

আমাদের প্রিয় মুন্নী সাহা

আমাদের প্রিয় মুন্নী সাহা
মুন্নী সাহা বাংলাদেশের আপামর সব শ্রেণীর মানুষের কাছে পরিচিত এক নাম

প্রিয় মুন্নী সাহার ৩২বছর কর্মজীবন পূর্তি আনন্দপার্টি আয়োজন করলো তার টিম।গতকাল ২০শে মে সিনহা হল,ঢাকা ক্লাবে। সংবাদ জগতের প্রায় সবাই উপস্থিত ছিলেন,তার বন্ধুজন,শ্রদ্ধেয়জন ও অনুজজন। আমি,স্থপতি শিল্পী মুস্তাফা খালিদ পলাশ ও কবির, হোসেন তাপস,মেহের আফরোজ শাওন শুধু অন্য গোত্রের তাছাড়া সবাই সাংবাদিক একএকজন মহীরুহ।

আজ বুকে হাত সত্যি বলতে বল্লে মানতে হবে মুন্নী সাহা বাংলাদেশের আপামর সব শ্রেণীর মানুষের কাছে পরিচিত এক নাম। এ অর্জন একা মুন্নীর নিজের। নারীর জন্যে এই সর্বনাশা দেশে মুন্নীইতো শিখিয়েছে মেয়েদের ভয়কে জয় করো মেয়ে হয়েও দাপটের সঙ্গে বাঁচা যায়।

- Advertisement -

আজ বলতে গর্ব হয় মুন্নীর জীবনের প্রথম ইন্টারভিউ ছাপার আয়োজন করে ছিলাম বলে। সেই ১৯৯১ সাল সম্ভবত, আমি দুই বছর লস এ্যানঞ্জেলেসে উধাও হয়ে আবার ঢাকায় ফিরে পুরোনো বিটপীর সাথে এবং কবি সৈয়দ আল ফরুকের সালেম সুলেরী সম্পাদীত রঙ্গিন সাপ্তাহীক ‘আকর্ষণে’ ও শিল্প সম্পাদক হিসেবে কাজ করি। ফারুক ও সুলেরী দুইজনই হয়তো বয়সে বড় বলে কিছুটা মান্য করতো। পহেলা বৈশাখ ভোরে চারুকলার চত্বরে সম্ভবত মুন্নীকে অনেকের মধ্যে প্রথম দেখে ছিলাম। তাল গাছের মত সবচেয়ে উঁচু তবে অপরূপ দীর্ঘ সুন্দর।

একবার দেখলে আবার দেখতে ইচ্ছে করে। বিটপীর মডেল হিসেবেই ভেবে কাছে গিয়ে কথা বলে বুঝলাম এ মেয়ে মডেলিং ফডেলিং এর কথা ভাবেনা সাংবাদিকতার স্বপ্ন দেখে। তখনো মুন্নী ভোরের কাগজে শুরু করেনি। শুধু সাংবাদিকতার ভবিষতে বিভোর। ফারুককে বলে আকর্ষণ সাপ্তাহীকে ফুল পেইজ কালার ছবি সহ ইন্টারভিউ ছাপা হলো। সম্পাদক সালেম সুলেরী অবাক হয়ে প্রশ্ন করতে লাগলো – কে এই মেয়ে? সাংবাদিক হিসেবে নামই কখনো শুনি নাই! সালেম এখন নিউ ইয়র্কবাসী তবে এই ৩২ বছরে জেনে গেছে মেয়েটির নাম মুন্নী সাহা।বাংলাদেশে ছোট বড় সবাই যাকে অকুতোভয় এক সাংবাদিক হিসেবে একনামে চেনে!

স্কারবোরো, কানাডা

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles