7.4 C
Toronto
রবিবার, মে ১১, ২০২৫

বুক ব্যথা— কেন হয়, কীসের লক্ষণ ও কী করবেন?

বুক ব্যথা— কেন হয়, কীসের লক্ষণ ও কী করবেন? - the Bengali Times
প্রতীকী ছবি

বুকের ব্যথা আসলে একটি লক্ষণ। অনেক কারণে বুকের ব্যথা হতে পারে। বুকের ভেতরে যত অঙ্গপ্রত্যঙ্গ আছে, প্রতিটিই বুকের ব্যথা তৈরি করতে পারে। আবার বুকের ব্যথা অন্য কোনো কারণেও হতে পারে। যেমন পেটের কোনো কারণে বুকের ব্যথা হতে পারে। মাথার কোনো কারণে বুকে অস্বস্তি হতে পারে। তবে বুকের ভেতরে যে ব্যথাটা, একটা মধ্যবয়সী বা প্রাপ্তবয়স্ক লোকের হাঁটাচলা করার সময় যদি বুকের ব্যথা হয়, তখন এর গুরুত্ব অনেক। হার্ট অ্যাটাকের প্রধান ও পরিচিত লক্ষণ হলো বুকে ব্যথা।

বুক ব্যথার লক্ষণ

- Advertisement -

মায়োকার্ডিয়াল ইনফেকশন বা হার্ট অ্যাটাকের এই ব্যথা অধিকাংশ ক্ষেত্রে বুকের মাঝখানে বা বাঁ পাশে শুরু হয় এবং ক্রমেই তা হাত, গলা বা চোয়ালে ছড়িয়ে পড়তে পারে। ব্যথার ধরনটিও বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই চাপ দিয়ে ধরে রাখা বা বুকটা দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়ার মতো। অনেকে বুকের চারদিকে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে- এমনতর অসহ্য দম বন্ধ হয়ে আসার মতো বর্ণনা করে থাকেন। এই অসহ্য ব্যথার সঙ্গে সঙ্গে ঘাম হবে প্রচুর। হার্ট অ্যাটাকের এই সাধারণ উপসর্গ দেখা দিলে সবাইকে সতর্ক হতে হবে। একে গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা মনে করবেন না। আবার দুটি আলসার নিরোধক বড়ি আর অ্যান্টাসিড সেবন করে ভুলেও পড়ে থাকবেন না। যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতাল বা নিদেনপক্ষে ডাক্তারের কাছে পৌঁছাতে হবে। কিন্তু সবসময় হার্ট অ্যাটাকে এ রকম চিরচেনা উপসর্গ নাও দেখা দিতে পারে।
বুকে ব্যথা হার্ট অ্যাটাকের প্রধান ও প্রথম লক্ষণ

অধিকাংশ মানুষের ক্ষেত্রে বুকে ব্যথা হার্ট অ্যাটাকের প্রধান ও প্রথম লক্ষণ হলেও এর এক-তৃতীয়াংশ ক্ষেত্রে অন্য কিছুও হতে পারে। হতে পারে এমনই সাধারণ কিছু, যা আপনাকে বিভ্রান্ত করতে পারে। বুকে ব্যথার সোজাসাপটা ধরন ছাড়া হার্ট অ্যাটাক ভিন্ন ধরনের হওয়ার হার দেখা গেছে মেয়েদের, বয়স্কদের এবং দীর্ঘদিন ডায়াবেটিসে ভোগা রোগীদের ক্ষেত্রে।

হার্ট অ্যাটাকের অস্বাভাবিক লক্ষণ

হার্ট অ্যাটাকের অস্বাভাবিক লক্ষণের মধ্যে প্রধান হলো বুকে ব্যথা ছাড়া হঠাৎ শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়া, ভীষণ দুর্বলতা বা অস্বাভাবিক ক্লান্তিবোধ হওয়া, পেটের ওপর দিকে বা পেছনে ব্যথা, গ্যাস্ট্রিক, আলসারের ব্যথাসহ অরুচির অনুভূতি, বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া, মাথা ঝিমঝিম করা, মাথা হালকা হয়ে যাওয়া, হৃৎস্পন্দনে বা নাড়ির গতিতে অস্বাভাবিকতা ইত্যাদি। সুতরাং যারা হৃদরোগের ঝুঁকিতে আছেন, তাদের মাঝে এ ধরনের লক্ষণ দেখা দিলেও সতর্ক হওয়া উচিত। পরিবারে হার্ট অ্যাটাকের ইতিহাস, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও রক্তে উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরল রয়েছে- এমন ব্যক্তি, স্থূলকায় ও ধূমপায়ী ব্যক্তিরা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকির মধ্যে আছেন। যেকোনো অস্বাভাবিকতা দেখা দিলে আতঙ্কিত না হয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles