
মানিকগঞ্জ পৌর এলাকার পশ্চিম বান্দুটিয়া এলাকায় পরকীয়ার জের ধরে স্বামীকে হত্যা চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। এ অভিযোগে স্ত্রী শান্তা ইসলাম ও প্রেমিক রাকিব হোসেন ওরফে সোহেলকে গ্রেফতার করে শনিবার দুপুরে পুলিশ আদালতে পাঠায়। পরে আদালত তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
Advertisement
পুলিশ ও ভুক্তভোগী জানায়, মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার পশ্চিম বান্দুটিয়া এলাকার মো. আওলাদ হোসেন ঢাকায় গার্মেন্টস এক্সেসরিস ও সাপ্লাইয়ের ব্যবসা করেন। তার দুই ছেলে ও শ্যালক সোহাগকে নিয়ে পশ্চিম বান্দুটিয়ার বাসায় তার স্ত্রী বসবাস করেন। প্রতি সপ্তাহে ঢাকা থেকে এসে ২-৩ দিন করে তিনি মানিকগঞ্জের বাসায় স্ত্রী ও সন্তানদের সঙ্গে থাকেন। এরই মধ্যে ৬ এপ্রিল রাতে ঢাকায় থেকে মানিকগঞ্জ বাসায় এসে খাবার খেয়ে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত দেড়টার দিকে ঘুম ভেঙে দেখেন তার হাত ও পা ওড়না দিয়ে বাঁধা।
এ সময় রুমে থাকা রাকিব তার স্ত্রীর সামনে হত্যার উদ্দেশ্যে তার গলা টিপে ধরে এবং ডান হাতের তর্জনী আঙ্গুল কামড় দিয়ে নখসহ ছিঁড়ে ফেলে, ডান হাতের কনুই ও মুখের বিভিন্ন অংশে কামড় দিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।
পরে তিনি ৯৯৯-এ ফোন দিলে পুলিশ ও স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এ সময় রাকিব ও তার স্ত্রী শান্তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য মানিকগঞ্জ কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন।
ভুক্তভোগী মো. আওলাদ হোসেন জানান, গতমাসে রাকিব আমাকে বিভিন্ন মোবাইল নম্বর থেকে ফোন করে হত্যার হুমকি দেয়। তখন আমি মানিকগঞ্জ সদর থানায় একটি জিডি করি। এবারও রাকিব হত্যার উদ্দেশ্যেই আমার স্ত্রীর সহায়তায় আমার কক্ষে প্রবেশ করে হামলা চালিয়েছে। এ সময় আমার স্থাবর অস্থাবর সহায় সম্পত্তি হাতিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে লিখিত দুইটি অসিয়তনামা তার পকেট থেকে পুলিশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় রাকিব হোসেন ও আমার স্ত্রী শান্তা ইসলামসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করে গতকাল ৭ এপ্রিল মানিকগঞ্জ সদর থানায় মামলা করেছ।
মানিকগঞ্জ সদর থানার ওসি মো. আব্দুর রউফ সরকার জানান, বিচারক তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ ঘটনায় অন্য কেউ জড়িত আছে কিনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।