9.8 C
Toronto
মঙ্গলবার, এপ্রিল ৩০, ২০২৪

এবার মহিলা আওয়ামী লীগে কি নেতৃত্ব বদলের হাওয়া?

এবার মহিলা আওয়ামী লীগে কি নেতৃত্ব বদলের হাওয়া?

বিভিন্ন আলোচনা-সমালোচনার মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ৫৩ বছর পার করেছে মহিলা আওয়ামী লীগ। আগামী ২৬ নভেম্বর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের এই সহযোগী সংগঠনের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

- Advertisement -

সম্মেলনকে সামনে রেখে মহিলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব বদলের হাওয়া বইতে শুরু করেছে। নেতাকর্মীদের মুখে মুখে সংগঠনের মূল দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের বদলের রব ওঠেছে। তারা নতুন নেতৃত্বের মাধ্যমে সংগঠনকে আরও বেগবান ও শক্তিশালী দেখতে চান।

বাংলাদেশের রাজনীতির ক্ষেত্রে মহিলাদের সবচেয়ে বড় সংগঠন মহিলা আওয়ামী লীগ। ১৯৬৯ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে এই সংগঠনের গোড়াপত্তন হয়।

মহিলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ৪ মার্চ মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন সাফিয়া খাতুন এবং সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান মাহমুদা বেগম কৃক। এরপর পাঁচ বছর কেটে গেলেও সংগঠনের সব সাংগঠনিক জেলা, ওয়ার্ড ও ইউনিটে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে পারেনি তারা। এমনকি ৭৮টি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে অর্ধেক জেলায় সম্মেলন ও কমিটি করতে ব্যর্থ হয়েছে তারা। এই নিয়ে নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ।

মহিলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, গত জুলাই মাসে কিছু সংখ্যক কমিটি ঘোষণা করে নানা বিতর্কের জন্ম দিয়েছে সংগঠনটি।

এছাড়া সারাদেশে কমিটি বাণিজ্য ও বিতর্কিত ব্যক্তিদের সংগঠনে জায়গা করে দেওয়ায় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে এখন অভিযোগের পাহাড়। তাই নেতাকর্মীরা মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পরিবর্তন চান।

আসন্ন সম্মেলনে এই নেতৃত্বে পালাবদলের আশা করে মহিলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের এই দুই পদে নতুন মুখকে দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়ে জোরালো দাবি তুলেছেন। আর এই দাবির প্রেক্ষিতেই সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে এবার বিদায় নিতে পারেন তারা।

মহিলা আওয়ামী লীগের কমিটি ১৫১ সদস্যবিশিষ্ট। এর মধ্যে বেশ কয়েকজন সদস্য মারা গেছেন। এছাড়া কেউ সংসদ সদস্য, আবার কেউ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদ পাওয়ায় মহিলা আওয়ামী লীগের সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত নেই। বর্তমান কমিটির মধ্যে অনেকেই বার্ধক্যজনিত কারণে অসুস্থ থাকায় সংগঠন থেকে বাদ পড়তে পারেন বলে জানা গেছে। তাই এবার মহিলা আওয়ামী লীগে যোগদানে যুব মহিলা লীগ ও সাবেক ছাত্রলীগের নেত্রীদের ভাগ্য খুলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আগামী ২৪ ডিসেম্বর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ২২তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে দলের অঙ্গ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সম্মেলন সম্পন্ন করতে চায় দলটি। এছাড়া জেলা সম্মেলন সম্পন্ন করতেও তোড়জোড় চালাচ্ছে টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ।

মহিলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, এবার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী প্রায় দুই ডজন।

সভাপতি পদে আলোচনায় যারা
মহিলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শিরিন নাঈম পুনম, আসমা জেরিন ঝুমু (সাবেক সাংসদ), বনশ্রী বিশ্বাস স্মৃতি কনা, নাসিমা ফেরদৌসী, আলেয়া পারভীন রঞ্জু, পিনু খান (সাবেক সাংসদ), ইয়াসমিন হোসেন, আজিজা খানম কেয়া, ফারহানা ডলি এবং বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম কৃকও সভাপতি পদ পেতে দৌড়ঝাঁপ করছেন।

সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী যারা
মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিরিন রুকসানা, শিখা চক্রবর্তী, নাজমা হোসেন, জান্নাত আরা হেনরী, কামরুন্নেসা মানান, সাংগঠনিক সম্পাদক আনারকলি পুতুল, সুলতানা রাজিয়া পান্না, ঝর্ণা বাড়ৈ, দপ্তর সম্পাদক রোজিনা নাসরিন রোজী রয়েছেন সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশীদের তালিকায়।

মহিলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রোজিনা নাসরিন রোজী বলেন, মহিলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন ২৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। সেই অনুযায়ী আমরা সম্মেলনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। শুক্রবার আমাদের মিটিং হয়েছে। মিটিংয়ে সম্মেলন অনুষ্ঠিত করার জন্য যার যার দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়েছেন সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।

মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিরিন রুকসানা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সংগঠনের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। মহিলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আমার সঙ্গে আছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দলের কাজ করার জন্য যেখানে রাখবেন সেখান থেকেই কাজ করতে চাই।

মহিলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শিরিন নাঈম পুনম বলেন, মহিলা আওয়ামী লীগ একটি সুসংগঠিত দল। দীর্ঘদিন ধরে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। মহিলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা যদি আমাকে চান আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি আমাকে সংগঠনের দায়িত্ব দেন তাহলে পালন করবো।

সূত্র : ঢাকাটাইমস

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles