10.3 C
Toronto
রবিবার, মে ৫, ২০২৪

কিশোরীকে গণধর্ষণ, অভিযুক্তদের বাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন!

কিশোরীকে গণধর্ষণ, অভিযুক্তদের বাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন!
প্রতীকী ছবি

এক কিশোরীকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করেছিল কয়েকজন ব্যক্তি। শুধু তাই নয়, তাকে মারধরও করা হয়। এতে গুরুতর জখম হয় ওই কিশোরী। এরপর তাকে ফেলে রেখে যাওয়া হয় রাস্তায়। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এদিকে, অভিযোগ পেয়ে ধর্ষণে অভিযুক্তদের মধ্যে তিনজনের বাড়ি বুল ডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন!

- Advertisement -

ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের রেওয়া জেলার নয়গাড়িতে।
জানা গেছে, মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন ১৬ বছরের ওই কিশোরী। সেখান থেকে তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, ধর্ষণকারীরা সংখ্যায় ছিল ছ’জন। তাদের মধ্যে দু’জন নাবালক। অভিযুক্তদের তিনজনকে রবিবারই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকি তিনজনেরও খোঁজ চলছে। তবে আপাতত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে গ্রেফতারকৃতদের তিনজনের বাড়িতে বুলডোজার চালিয়েছে জেলা প্রশাসন।

তারা জানিয়েছে, বাড়িগুলো বেআইনিভাবে তৈরি করা হয়েছিল। তবে একইসঙ্গে রেওয়া প্রশাসন জানিয়েছে, বাকি তিনজন গ্রেফতার হলে তাদের বিরুদ্ধেও একই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ছ’জনের বিরুদ্ধেই গণধর্ষণ, ডাকাতি, নাবালিকাকে যৌন নির্যাতনের ধারায় অভিযোগ এনে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ। তবে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ার আগেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে ‘শাস্তি’ দেওয়া হয়েছে ধর্ষণে অভিযুক্তদের। বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁদের বসতবাড়ির বেআইনিভাবে নির্মাণ কাঠামো।

এর আগে অপরাধীদের বাড়িতে বুলডোজার চালানোর নিয়ম চালু হয়েছিল উত্তরপ্রদেশে। বিজেপি শাসিত রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নির্দেশে ‘বিচারের আগেই’ বিচার রীতিমতো জনপ্রিয়ও হয়। যে কারণে সেখানকার মুখ্য়মন্ত্রীর নামই হয়ে যায় ‘বুলডোজার যোগী’। রবিবার বিজেপি শাসিত আরেকটি রাজ্য মধ্যপ্রদেশেও একই ব্যবস্থা নিতে দেখা গেল প্রশাসনকে।

শনিবার ওই ঘটনার পর পরই পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন ওই কিশোরীর এক পুরুষ বন্ধু। তিনি পুলিশকে জানান, ওই দিন দুপুরে তারা দু’জন মন্দিরে পুজা দিতে গিয়েছিলেন। পুজো দেওয়ার পর তারা মন্দির চত্বরেরই এক প্রান্তে বসে গল্প করছিলেন। সেই সময়ই দু’জনের উপর চড়াও হয় ওই ছ’জন। কিশোরীকে তার বন্ধুর সামনেই মন্দির চত্বর থেকে টেনে নিয়ে যাওয়া হয় নির্জন এলাকায়।

পুলিশকে অভিযোগকারী জানিয়েছেন, দু’জনেই ওই ধর্ষণকারীদের কাছে তাদের ছেড়ে দেওয়ার জন্য কাতর আবেদন জানান। কিন্তু তাদের কোনও কথাই শোনেনি দুষ্কৃতীরা। ওই কিশোরীর উপর নিরবিচ্ছিন্ন অত্যাচার চালানোর পর তাকে রাস্তায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায় ধর্ষণকারীরা। যাওয়ার আগে দু’জনকেই প্রাণনাশের হুমকিও দিয়ে যায়।

পুলিশ খবর পেয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই কিশোরীকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

পুলিশ জানিয়েছে, বাকি তিন অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে। খুব শিগগিরই তাদেরকেও গ্রেফতার করা যাবে বলে আশা করছেন তারা। সূত্র: আনন্দবাজার

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles