11.8 C
Toronto
শুক্রবার, মে ৩, ২০২৪

নায়িকা হওয়ার প্রস্তাব পেয়েছিলেন, অতঃপর যা হলো সাবরিনার

নায়িকা হওয়ার প্রস্তাব পেয়েছিলেন, অতঃপর যা হলো সাবরিনার

একসময় চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে চেয়েছিলেন ডা. সাবরিনা। কিন্তু বাবার কড়া শাসনের জন্য সেটা ইচ্ছা পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থাকে। শেষ পর্যন্ত হতে হয়েছিল চিকিৎসক।

- Advertisement -

২০১৬ সালে দেশের একটি গণমাধ্যমে এমনটি বলেছিলেন আলোচিত চিকিৎসক সাবরিনা।

দেশে করোনা মহামারি শুরু হলে বিনামূল্যে তা পরীক্ষার জন্য বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেয় সরকার। এর মধ্যে ছিল জেকেজি হেলথ কেয়ার। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি বিনামূল্যে নমুনা সংগ্রহের অনুমতি নিয়ে অর্থের বিনিময়ে তা করানো, নমুনা পরীক্ষা ছাড়াই ভুয়া সনদ দিচ্ছিল- এমন অভিযোগ ওঠে তাদের বিরুদ্ধে। সত্যতা পেয়ে ২০২০ সালের ২৩ জুন জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা ও তার স্বামী প্রতিষ্ঠানটির সিইও আরিফুল হক চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর জেকেজি হেলথ কেয়ারের নমুনা সংগ্রহের অনুমোদনও বাতিল করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

করোনাভাইরাস পরীক্ষার টেস্ট না করেই রিপোর্ট ডেলিভারি দেওয়ার ঘটনায় তখন দেশে তোলপাড় শুরু হয়। এই প্রতারণার মূলহোতা হিসেবে উঠে আসে ডা. সাবরিনার নাম। যিনি জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের চিকিৎসক ছিলেন।

আলোচিত সেই মামলার রায় হতে যাচ্ছে আজ। ঢাকার একটি আদালত এ রায় দেওয়ার কথা রয়েছে।

ডা. সাবরিনা সেই গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘একটা সময় আমি নায়িকা হতে চেয়েছিলাম। নায়িকা হওয়ার জন্য প্রস্তাবও পেয়েছিলাম। লুকিয়ে লুকিয়ে অভিনয়ের রিহার্সালে যেতাম। কিন্তু বাবার কড়া শাসনের কারণে আর সেটি হয়ে ওঠেনি। যেদিন ফাইনাল শুটিং হবে সেদিন বাবা বুঝে গেলেন সব কিছু। আমার আর অভিনয় করা হলো না।’

সাবরিনা আরও বলেছিলেন, চাকরি জীবনে পা রাখার পর আমার প্রথম পোস্টিং হয় দিনাজপুরের এক প্রত্যন্ত অঞ্চলে। এমন একটি জায়গা ছিল, যেখানে কাটাকুটি (অস্ত্রোপচার) করার মতো কোনো যন্ত্র নেই। কোনো রকমে কিছু ওষুধ আসত। সেখানে থেকে আমার মনে হয়েছে যদি এই জায়গাগুলো উন্নত করা যায়, তাহলে অনেক চিকিৎসক গিয়ে কাজ করত। তবে নেই বলেই কাজ করার সুযোগ সেসব জায়গায় কম। এরপর ঢাকা মেডিকেল কলেজে বদলি হই। এরপর জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে’ – যোগ করেন সাবরিনা।

সূত্র : ঢাকাটাইমস

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles