10.2 C
Toronto
মঙ্গলবার, এপ্রিল ৩০, ২০২৪

যে কারণে একই ওড়নায় আত্মঘাতী দুই বান্ধবী!

যে কারণে একই ওড়নায় আত্মঘাতী দুই বান্ধবী! - the Bengali Times
প্রতীকী ছবি

বিয়ের পর আলাদা হয়ে যাবে দুই বান্ধবী। দেখা হবে না একে অপরের সঙ্গে, এই ভাবনা গ্রাস করার পরই ভয়ঙ্কর সিদ্ধান্ত নিল দুজনে। একই ওড়নায় দুই বান্ধবী আত্মঘাতী হল।

মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের শিলিগুড়ির ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের বিবেকানন্দ নগরে। ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করে পরিবারের লোক। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে সুইসাইড নোটও।

- Advertisement -

জানা গেছে, চলতি মাসেই দিপ্তী রায়ের বিয়ে ঠিক হয়। পরিবার থেকে সেই মত আয়োজন চলছিল। বিয়েতে কোনও রকম আপত্তিও প্রকাশ করেননি দীপ্তি । কিন্তু হঠাৎই এমন ঘটনা ঘটবে তা কল্পনাতেও আসেনি। এক কথায় হতভম্ব দুই পরিবার।
এলাকাবাসীরা জানায়, খুব ছোট বেলা থেকেই প্রিয়াঙ্কা রায় ও দীপ্তি রায় ভাল বন্ধু । একই সঙ্গে বেড়ে ওঠা দু’জনের। একই সঙ্গে স্কুল। সব ঠিকই চলছিল। এর মধ্যে এক বান্ধবীর বিয়ে ঠিক করে পরিবার। কিন্তু দুজন যে দুজনের থেকে একেবারেই আলাদা হতে চায় না তা কেউই বুঝে উঠতে পারেনি। প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা, আলাদা হয়ে যেতে হবে দুজনকে। বিচ্ছেদের এই ভাবনা থেকেই এমন ভয়ঙ্কর সিদ্ধান্ত নেয় দুজনে।

বাড়ি ফাঁকা থাকায় সেখানেই একই ওড়নায় দুজন দুজনের হাত ধরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয় তারা। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া সুইসাইড নোটে লেখা, “স্যরি , আমাদের আলাদা করবেন না, একসাথে নিয়ে যাবেন, একসাথে রাখবেন, আমাদের সব কাজ একসাথে করবেন।”

সুইসাইড নোটে তারা পরিবারের কাছে ক্ষমা চেয়ে আরও জানিয়েছেন, মা বাবার স্বপ্নপূরণ করতে পারেনি, কিন্তু দীপ্তি বা প্রিয়াঙ্কা কেউই একে অপরকে ছাড়া থাকতে পারবে না।

দীপ্তির ঠাকুর দাদা রজত রায় জানান, “আশীর্বাদ করতে যাওয়ার দিনও নাতনিকে জিজ্ঞেস করে যাই যে ছেলে পছন্দ কি না, সে কোনও আপত্তি করেনি, বিয়ের সব আয়োজন শেষ, সন্ধ্যা বেলা শুনতে পারি তারা সুইসাইড করেছে, কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না।”

অন্যদিকে প্রিয়াঙ্কার মা বলেন, “সব সময় দুজনে একসঙ্গে থাকত, ছোট বেলার থেকে একসঙ্গে খাওয়া দাওয়া, পড়াশোনা, ঘোরাফেরা। সকালে কাজে বের হওয়ার সময়ও কিছু বুঝতে পারিনি। বাড়ি ফাঁকা ছিল। ওরা যে এরকম করবে তা বুঝতে পারিনি কখনও।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles