অন্টারিওর হাসপাতালগুলোর আইসিইউতে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি রোগী ভর্তি হওয়ায় কোভিড-১৯ চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধের স্বল্পতা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় অন্টারিওর চিকিৎসকের কোভিড চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ রেশনিংয়ের পরামর্শ দিয়েছে অন্টারিওর সায়েন্স অ্যাডভাইজরি টেবিল। কোভিড চিকিৎসার পরিমার্জিত নীতিমালা প্রকাশ করেছে সায়েন্স অ্যাডভাইজরি টেবিল। সেখানে আর্থ্রাইটিসের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ টসিলিজুমাবের ঘাটতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। মার্চের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ওষুধটি ভেন্টিলেশন প্রয়োজন এমন কোভিড রোগীদের ওপর প্রয়োগ করলে মৃত্যুর ঝুঁকি কমে আসে। গুরুতর ও মোটামুটি অসুস্থ রোগীদের ওপর ওষুধটি প্রয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে। প্রথমে প্রথম ডোজের ২৪ ঘণ্টা পর ওষুধটির দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার কথা বলা হলেও এখন প্রত্যেক রোগীকে ৪০০ মিলিগ্রামের একটিমাত্র ডোজ দিতে বলা হচ্ছে। দ্বিতীয় ডোজ প্রয়োগ না করার সুপারিশ করা হয়েছে।
অন্টারিওর সায়েন্স অ্যাডভাইজরি টেবিলের বৈজ্ঞানিক পরিচালক ড. পিটার জুনি বলেন, ডোজ পরিবর্তন রোগীর চিকিৎসায় প্রভাব ফেলবে না হয়তো। কিন্তু রেশনিং করলে যেটা হবে তা হলো বেশি সংখ্যক রোগী এর ফলে উপকৃত হবেন।
অন্টারিওর হাসপাতালগুলোর আইসিইউতে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি রোগী ভর্তি হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই সুপারিশ করেছে সায়েন্স অ্যাডভাইজরি টেবিল। ক্রিটিক্যাল কেয়ার সার্ভিসেস অন্টারিওর তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার মধ্যরাত পর্যন্ত প্রদেশের আইসিইউগুলোতে ৫২৩ জন কোভিড রোগী ভর্তি ছিলেন।
জুনি বলেন, সাম্প্রতিক গবেষণায় কোভিড-১৯ এর চিকিৎসায় টসিলিজুমাবের কার্যকারিতার বিষয়টি আরও ভালোভাবে উঠে এসেছে। এর ফলে কয়েক মাস যাবৎ বিশ্বব্যাপী এর চাহিদা বেড়ে গেছে। কোভিড-১৯ এর চিকিৎসায় চিকিৎসকদের সামনে যে দুটি ওষুধের বিকল্প আছে টসিলিজুমাব তার একটি। অর্থাৎ, কোভিড-১৯ এর চিকিৎসায় খুব বেশি বিকল্প ওষুধ আমাদের হাতে নেই।