
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ সায়েরা খাতুন হলের এক ছাত্রীকে গোপনে অন্যান্য ছাত্রীদের ছবি ও ভিডিও ধারণের অভিযোগে হল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। শনিবার (২৪ মে) দিবাগত রাতে ওই ছাত্রীর বিচারের দাবিতে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ করেন হলটির আবাসিক শিক্ষার্থীরা।
অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর নাম মুস্তাফসীরা মিমি। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৬-১৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন।
ভুক্তভোগীদের দাবি, অভিযুক্ত ছাত্রী দীর্ঘদিন ধরে রুমমেটদের ওপর মানসিক নির্যাতন চালিয়ে আসছিলেন। কেউ তার সঙ্গে এক রুমে থাকতে চাইতেন না। এর আগেও হল প্রশাসনের কাছে একাধিকবার অভিযোগ জানানো হয়েছিল, তবে তেমন কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সাম্প্রতিক সময়ে সন্দেহের বশে তার ফোন চেক করে দেখা যায়, রুমমেটদের অনুমতি ছাড়া তোলা বেশ কিছু ছবি এবং ভিডিও তার হোয়াটসঅ্যাপ-গ্যালারিতে রয়েছে। বিষয়টি প্রক্টর ও হল প্রশাসনকে জানানো হলে তারা তার ফোন জব্দ করেন।
হল সুপার জানান, অভিযুক্ত ছাত্রী ইতোমধ্যে পড়াশোনা শেষ করে সার্টিফিকেটও সংগ্রহ করেছেন। এরপরও হল প্রশাসনের অজান্তে হলে অবস্থান করছিলেন। বিষয়টি জানার পর তার বাবার সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে পরামর্শ করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শামসুজ্জোহা জানান, প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের প্রমাণ মেলার পর ওই শিক্ষার্থীকে হল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। তার মোবাইল ফোন জব্দ করে প্রশাসনের হেফাজতে রাখা হয়েছে। অধিকতর তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।