
রাজনীতিতে অতি- ডানপন্থার ফলাফল কেমন হয় চলুন দেখি।
মানবিক সহায়তার জন্য ত্রানবাহী ট্রাক গাজায় ঢুকতে দেয়া না হলে আগামি তিন দিনের মধ্যে গাজায় প্রায় ১১ হাজার শিশু না খেয়ে মারা যাবে।
ইসারাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু নানানভাবে গাজাবাসীদের নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টায় আছে। তারমধ্যে গাজায় দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি করা অন্যতম কৌশল হিসেবে কাজে লাগানো হচ্ছে। গাজা্রয কোন রকম ত্রান ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না গত কয়েকমাস ধরে।
গাজায় মানবতার বিরুদ্ধে এ ধরনের অপরাধ বন্ধ না করলে ইউকে, ফ্রান্স ও কানাডা — এই তিন দেশ মিলে ইসরাইলরকে সব ধরনের সহযোগিতা বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে। ডনাল্ড ট্রাম্পও ইসরাইলকে সেরকম হুমকি দিয়ে রেখেছে যদিও প্রকাশ্যে ও তলে তলে সব ধরনের সামরিক সহায়তা দেয় যুক্তরাষ্ট।
নেতানিয়াহু প্রতিদিনই গাজায় হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে। তার নতুন পরিকল্পনা হল সকল গাজাবাসিকে এলাকা ছাড়া করা। তিনি এখন গাজাবাসিদেরকে উত্তর আফ্রিকায় পাঠানোর বন্দোবস্থ করতে ব্যস্ত। তার এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সম্ভব হয়ত হবেনা।
গাজায় এ পর্যন্ত ৬০ হাজারের মত মানুষতে হত্যা করা হয়েছে। আরো হত্যাযজ্ঞ অব্যাহত আছে।
অতি ডানপন্থী হামাসের কারনে গাজাবাসীরা মারা যাচ্ছে। ইসরাইয়েলেও কয়েকহাজর সাধারন মানুষ ও সৈনিক হতাহত হয়েছে। সেটা হয়েছে ইসরাইয়েলের অতি ডানপন্থী শাসকদের কারনে।
অতি–ডানপন্থীরা মানুষরে জীবনের চেয়ে নিজেদের ঘাউরামীকেই!জ বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে।
ইসরাইলের ৬৬ শতাংশ জনগণ নেতানিয়াহুকে চায়না। কিন্তুু তাদের কিছু করার নেই। ভোট আসতে এখনো বছর খানেক দেরি। ওদিকে গাজায় হামাস পরিচালিত হয় ইরানী অতি ডানপন্থী শাসকদের সাহায্য ও সহযোগিতায়।
ভারত পাকিস্তানের যুদ্ধ সংগঠিত হচ্ছে কারন দুই দেশেই অতিডানপন্থী শাসক বিদ্যমান। বাংলাদেশেও ডানপন্থীদের ।আষ্ফালন বেশ লক্ষণীয়।
নেতানিয়াহু অনেক আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে। দেশে বিদেশে তাকে বিচারের সমুখীন হবে। এই ভয়ে সে “পাগল” হয়ে গেছে। যে রকম “পাগল” হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশের শেখ হাসিনা। নিজের দেশের মানুষকে হত্যা করিয়েছে। অতি ডানপন্থা হলে যা হয় আর কী। শেষমেশ তো টিকে থাকতে পারলনা। নিরাপরাধ মানুষকে হত্যা করে ক্ষমতায় টিকে থাকা যায়না।
নেতানিয়াহু হয়ত টিকতে পারবেনা। কিন্তুু সর্বনাশ যা হবার তাতো হয়েই গেছে।
আশার কথা হল, কিছু দেশ যেমন ব্রিটেন, কানাডা ও ফ্রান্স–ইসরাইলের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিচ্ছে। যদিও তারাও এতদিন ইসরাইলকে সব ধরনের সহায়তা দিয়ে এসেছে। ওদিকে আরব দেশগুলো নিরব ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। তারা ফিলিস্তিনীদের পক্ষে একটা কথাও বলেনা।
তাহলে ফিলিস্তিনীতের এ সমস্যার সমাধান কোথায়?
সমাধান ফিলিস্তীন ইসরাইল নামক দুটা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলেই হয়ত এ সমস্যার সমাধান সম্ভব। সেক্ষেত্রে ইসরাইল ও ফিলিস্তিনে মধ্যমন্থী সরবার থাকতে হবে। অতিডানপন্থীদের দ্বারা মানুষের মৃত্যু ছাড়া স্থায়ী সমাধান হবেনা। মধ্যপন্থার জয় হোক, অতি-ডানপন্থার নিশ্চিহ্ন হোক।
টরন্টো, কানাডা