
হরিয়ানার ট্রাভেল ভ্লগার জ্যোতি মলহোত্রাকে পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তি করার অভিযোগে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে৷ এবার সামনে আসছে তার একের পর এক কীর্তি৷ বছর তেত্রিশের ওই ট্রাভেল ভ্লগারের বিরুদ্ধে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-কে ভারতীয় সেনার সংবেদনশীল সামরিক তথ্য ফাঁস করার অভিযোগ রয়েছে। জ্যোতির সাথে আরও পাঁচজনের বিরুদ্ধে অফিসিয়াল সিক্রেটস আইনে মামলা করা হয়েছে।
অফিসাররা জানিয়েছেন, জ্যোতি ভারতীয় সেনাবাহিনীর গতিবিধি এবং কৌশলগত অবস্থান সম্পর্কিত গোপন তথ্য পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থার সাথে যুক্ত হ্যান্ডলারদেরকে দিয়েছিল। তদন্তকারীদের অভিযোগ, জ্যোতি হরিয়ানা এবং পাঞ্জাব জুড়ে ছড়িয়ে থাকা একটি বৃহত্তর গুপ্তচরবৃত্তি নেটওয়ার্কের অংশ ছিল।
পাকিস্তানে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন ভারতে জন্ম নিয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ উঠা জ্যোতি মলহোত্রা। এর জন্য পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই ‘হ্যান্ডলার’-এর কাছে সাহায্যও চেয়েছিলেন তিনি।
পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে আটক জ্যোতির হোয়াটস্অ্যাপ চ্যাট ঘেঁটে এমনই তথ্য মিলেছে বলে খবর তদন্তকারীদের একটি সূত্রে।
পুলিশের ওই সূত্রের দাবি, আলি হাসান নামে এক যুবকের সঙ্গে হোয়াটস্অ্যাপে প্রায়ই কথা বলতেন জ্যোতি। এই আলি আইএসআই-এর গুপ্তচর বলে দাবি তদন্তকারীদের সূত্রের।
ওই সূত্রের বক্তব্য, দু’জনের মধ্যে অনেক কথা হত। তার মধ্যেই এক বার হাসানের কাছে সাহায্য চেয়ে জ্যোতি লিখেছিলেন, ‘আমি পাকিস্তানে বিয়ে করতে চাই’। পাকিস্তানে আমার বিয়ের ব্যবস্থা করুন। তদন্তকারীদের সূত্রের মত, এর থেকেই বোঝা যায়, পাকিস্তানের সঙ্গে জ্যোতির এক ধরনের আত্মিক যোগাযোগ তৈরি হয়ে গিয়েছিল।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানে অন্তত দু’বার গিয়েছিলেন জ্যোতি। প্রথম বার গিয়েছিলেন ২০২৩ সালে। দ্বিতীয় বার গিয়েছিলেন পহেলগাঁও কাণ্ডের ঠিক আগে আগে।