
১১ বছর বয়সি ছাত্রকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে ২৭ বছরের এক শিক্ষিকাকে ৯ বছরের কারাদণ্ড দিল রাশিয়ার আদালত। বিবাহিত ওই শিক্ষিকার নাম আনা প্লাকসিউক। তিনি নাবালক ছাত্রকে নিজের শরীর স্পর্শ করতে বাধ্য করেছিলেন বলে অভিযোগ। ছাত্রের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের দায়ে তাঁকে শাস্তি দিল আদালত।
‘দ্য নিউ ইয়র্ক পোস্ট’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী রাশিয়ার লেনিনগ্রাদের আদালত জানিয়েছে, ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে আগেও অনেক অভিযোগ করেছেন অভিভাবকেরা। ‘নির্যাতিত’-এর পরিবারের অভিযোগ, ক্লাস শেষ হয়ে যাওয়ার পরে ছাত্রটিকে তিনি শ্রেণিকক্ষে থাকতে বলেন। পরে ছেলেটিকে তাঁর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতে বাধ্য করেন। জোর করে চুমু খান এবং শারীরিক ভাবে ঘনিষ্ঠ হন। আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘‘ক্লাসঘরে ওই শিক্ষিকা নিজের যৌনাঙ্গে হাত দিতে বলেছিলেন ছাত্রকে। স্কুল থেকে বাড়ি চলে যাওয়ার পরে বালককে নগ্ন ছবিও পাঠান। তার বিনিময়ে তাকেও একই কাজ করার জন্য জোর করেছিলেন।’’
সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন অনুযায়ী, ‘নির্যাতিত’ ছাত্রের মা ছেলের ফোনের হোয়াট্সঅ্যাপে শিক্ষিকার নগ্ন ছবি এবং অশ্লীল কথোপকথন দেখে কার্যত চমকে যান। তিনি সোজা চলে যান সেন্ট পিটার্সবার্গের উত্তর উপকণ্ঠে টোকসোভো শহরে ছেলের স্কুলে। অধ্যক্ষের কাছে অভিযোগ করেন। মহিলার অভিযোগ, তাঁর নাবালক পুত্রকে অশ্লীল কাজে লিপ্ত করতে প্ররোচিত করেছেন শিক্ষিকা।
আদালত জানিয়েছে, এই অভিযোগটি ২০২৩ সালের। ছাত্রের মায়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত শিক্ষিকাকে ডেকে পাঠান অধ্যক্ষ। তখন ওই শিক্ষিকা পাল্টা অভিযোগ করেন যে, ছাত্রটি মানসিক ভাবে অসুস্থ। চার মাস ধরে তাঁকে নানা ভাবে হেনস্থা করছে সে। ঘটনাক্রমে পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়।
এই নিয়ে শোরগোল পড়ে যায় অন্য অভিভাবকদের মধ্যে। সকলেই শিক্ষিকার শাস্তি দাবি করেন। অন্য দিকে, পুলিশের কাছে ২৭ বছরের শিক্ষিকার সহকর্মীরা জানান, তাঁরা আনাকে এক জন ভাল শিক্ষিকা বলেই জানতেন। তাঁর চরিত্রের এই দিকটি সম্পর্কে কেউ অবহিত ছিলেন না।
শেষমেশ ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে গ্রেফতার হন শিক্ষিকা। সম্প্রতি আদালত জানিয়েছে, ১৪ বছরের নীচে এক জনের সঙ্গে শিক্ষিকার ঘনিষ্ঠতা যৌন নির্যাতনের শামিল। তাই তাঁকে ৯ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হচ্ছে। কারামুক্তির পর এক বছর শিক্ষকতা করতে পারবেন না আনা।