
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজধানীর মিরপুর মডেল থানায় দায়ের করা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার সাবেক সংসদ সদস্য ও শিল্পী মমতাজ বেগমের চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার (১৩ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুয়েল রানার আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আদালত প্রাঙ্গণে মমতাজকে দুয়োধ্বনি ও ধাওয়া দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
জানা যায়, আজ বিকেল পৌনে ৪টার দিকে শুনানি শেষে এজলাস থেকে নামানোর সময় বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা মমতাজকে দুয়োধ্বনি দিতে থাকেন। এসময় আইনজীবীরা লিফট আটকে রাখেন যাতে তাকে সিঁড়ি দিয়ে নামতে হয়। কিন্তু তাদের সে চেষ্টা ব্যর্থ হলে মমতাজ লিফট দিয়েই নিচে নামেন। পরে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা মমতাজকে ধাওয়া দিলে পুলিশের বেষ্টনীতে দৌড়ে গারদে ঢুকে যান মমতাজ।
মামলার সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ জুলাই মিরপুর-১০ নম্বর গোল চত্বর এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেন মো. সাগর। ওইদিন বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আসামিরা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা ও গুলিবর্ষণ করে। এ সময় সাগরের বুকে গুলি লেগে পিঠ দিয়ে বের হয়ে যায়। তার মা বিউটি আক্তার তাকে খুঁজতে থাকেন। একপর্যায়ে ওইদিন রাত ৩টায় মিরপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তার মরদেহ খুঁজে পান। এ ঘটনায় গত ২৭ নভেম্বর নিহতের মা বিউটি আক্তার বাদী হয়ে মিরপুর মডেল থানায় মামলা করেন। এতে শেখ হাসিনাসহ ২৪৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়া মামলায় ২৫০-৪০০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়। এ মামলায় মমতাজ বেগম ৪৯নং এজাহারনামীয় আসামি।
প্রসঙ্গত, এক সময় ‘লোকগানের রানি’ খ্যাত এই শিল্পী আওয়ামী লীগের হয়ে রাজনীতিতে সরব ভূমিকা রাখেন। ২০০৯ সালে নবম জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য হন মমতাজ। পরবর্তীতে ২০১৪ সালে সরাসরি ভোটে মানিকগঞ্জ-২ আসনে জয়ী হয়ে সংসদ সদস্যের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। তবে ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও শেষ পর্যন্ত হেরে যান স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান জাহিদ আহমেদের (টুলু) কাছে।