18 C
Toronto
মঙ্গলবার, মে ১৩, ২০২৫

রাফাল ধ্বংসকারী পাকিস্তানের নারী পাইলট : পাকিস্তানের আকাশজয়ী বাজপাখি আয়েশা

রাফাল ধ্বংসকারী পাকিস্তানের নারী পাইলট : পাকিস্তানের আকাশজয়ী বাজপাখি আয়েশা - the Bengali Times
পাকিস্তান বিমানবাহিনীর চৌকশ নারী পাইলট আয়েশা ফারুক ছবি সংগৃহী

রাত গভীর। চারদিকে নিস্তব্ধতা। আর তখনই আকাশে গর্জে উঠল ককপিটে ওত পেতে থাকা পাকিস্তানের আকাশজয়ী ‘বাজপাখি’ আয়েশা ফারুকের ক্ষেপণাস্ত্র। পাকিস্তানের এক ঝলক ক্ষিপ্রতা, এক নিখুঁত নিশানা আর সঙ্গে সঙ্গেই ভারতীয় রাফাল পরিণত হলো ধ্বংসস্তূপে। মাত্র ২৭ সেকেন্ডে আক্রমণ, ৮.৭ সেকেন্ডে ধ্বংস এবং ৪ সেকেন্ডের মধ্যেই নিশ্চিহ্ন।

পাকিস্তান বিমানবাহিনীর সবচেয়ে চৌকশ নারী পাইলটের আক্রমণে দুমড়ে-মুচড়ে গেল শত্রুপক্ষের ২৮৮ মিলিয়ন ডলারের গর্ব রাফাল। শুধু ভারত নয়- সেদিন মাঝরাতের আকাশে চুরমার করে দিয়েছেন ফরাসি বিমানশিল্পের দাম্ভিক ইতিহাসও। আয়েশার ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রেই বিশ্বে প্রথমবারের মতো ভূপাতিত হয় আকাশযুদ্ধের পশ্চিমা ‘পক্ষীরাজ’ রাফাল।

- Advertisement -

বিবিসি, নিউইয়র্ক টাইমস থেকে শুরু করে খোদ রাফাল কর্মকর্তাও স্বীকার করেছেন রাফাল ভূপাতিত হয়েছে। আয়েশায় সেই পাইলট- পাকিস্তানের ইতিহাসে প্রথম নারী যিনি সরাসরি শত্রু বিমানগুলো ভূপাতিত করেছেন। ডন, ইন্টারনেট।

৬ মে রাতের আকাশে ভারতীয় রাফাল যুদ্ধবিমানকে ধ্বংস করে গোটা দক্ষিণ এশিয়াকে চমকে দেন পাকিস্তানের প্রথম যুদ্ধপ্রস্তুত নারী পাইলট আয়েশা। একটি এআইএম-১২০সি এএমআরএএএম ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে দেখিয়ে দিয়েছেন, নারীরাও যে কোনো ক্ষেত্রে পুরুষদের সমান দক্ষতা অর্জন করতে পারেন। ভারতীয় রাফাল ভূপাতিতের ঘটনা শুধু সামরিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ নয়, এটি পাকিস্তানে নারীদের ক্ষমতায়নেরও এক মাইলফলক বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

যুদ্ধের ইতিহাসে প্রথমবার, এক নারী পাইলটের হাতে রাফাল হারাল ভারত। যে আকাশে এতদিন পুরুষের একাধিপত্য ছিল, সেই আকাশে এবার নারীর শক্তির গর্জন শোনা গেল।

জন্ম ও বেড়ে ওঠা: পাঞ্জাবের বাহাওয়ালপুরে জন্ম নেওয়া আয়েশার ছোটবেলা থেকেই সামরিক পেশার প্রতি টান ছিল। মাত্র তিন বছর বয়সে বাবাকে হারান আয়েশা। মা-ই তাকে কঠিন পরিশ্রম আর প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে বড় করেছেন। পাকিস্তানের মতো একটি রক্ষণশীল সমাজে, যেখানে পুরুষ অভিভাবক ছাড়া বেঁচে থাকা কঠিন, সেখানে আয়েশা বড় হন আত্মবিশ্বাস ও দায়িত্ববোধ নিয়ে। এ থেকেই আয়েশা সিদ্ধান্ত নেন তিনি একজন ফাইটার পাইলট হবেন। মা ছিলেন পুরোপুরি সমর্থনে। যদিও আত্মীয়রা শুরুতে তীব্র আপত্তি করেছেন। কিন্তু কারও কথায় থামেননি আয়েশা।

আয়েশার সংগ্রামী যাত্রা: আয়েশা ফারুকের জন্য তার যাত্রাটা সহজ ছিল না। তিনি বলেছেন, নারী হওয়ার কারণে প্রথম পদক্ষেপটাই সবচেয়ে কঠিন ছিল। বিমানবাহিনীতে যোগ দিতে চাইলে প্রথমে বাধা আসে পরিবারের দিক থেকেই। কিন্তু তাতেই দমে যাননি আয়েশা। একজন নারী হিসাবে তাকে বেশি পরিশ্রম করতে হয়েছে। সহকর্মী পুরুষদের প্রমাণ করতে হয়েছে, তিনিও তাদের মতোই দক্ষ।

তিনি আরও বলেছেন, ‘পুরো পেশায় আমি একমাত্র নারী ছিলাম। সবাই তাকিয়ে থাকত আমি পারি কি না সেটা দেখার জন্য।’ তবে আয়েশা জানিয়েছেন, পাকিস্তান বিমানবাহিনী কখনো তাকে নারী বলে আলাদা চোখে দেখেনি। বরং সেখানে সবকিছুই হয় যোগ্যতার ভিত্তিতে।

কঠিন প্রশিক্ষণ, অদম্য মনোবল: আয়েশা ফারুকের জন্য ফাইটার জেট পাইলট হওয়ার প্রশিক্ষণ ছিল অত্যন্ত কঠিন। তিনি বলেছেন, ‘শুরুর দিকে অনেকেই ভাবত আমি হয়তো পারব না। কিন্তু ওদের সন্দেহই আমাকে আরও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ করে তুলেছে।’

আয়েশা আরও বলেছেন, যুদ্ধবিমান চালানো কোনো সাধারণ চাকরি নয়। এটা কেবল বসে থাকার কাজ নয়। একটানা পরিশ্রম, মানসিক চাপ আর শারীরিক ফিটনেস সবকিছুতেই সেরা হতে হয়। আমাদের দিন শুরু হয় ভোর ৪টায়। কখনো কখনো রাত ১২টা পর্যন্ত কাজ চলে। আবার অনেক সময় রাতে উড়াল দেওয়ার শিডিউলও থাকে। এই কঠিন পরিশ্রমের মধ্য দিয়েই আয়েশা তৈরি হয়েছেন একজন সাহসী ও দক্ষ ফাইটার পাইলট হিসাবে। তিনি প্রমাণ করেছেন, ইচ্ছা আর পরিশ্রম থাকলে কোনো কিছুই অসম্ভব নয়।

সাহসিকতা আর সংগ্রামের প্রতীক: পাকিস্তান বিমানবাহিনীতে গত দশ বছরে ১৯ জন নারী পাইলট হয়েছেন। যাদের মধ্যে মাত্র ৫ জন ফাইটার জেট চালাতে পারেন। কিন্তু আয়েশাই একমাত্র, যিনি যুদ্ধের জন্য চূড়ান্তভাবে প্রস্তুত। বর্তমানে পাকিস্তান বিমানবাহিনীতে ৩১৬ জন নারী কাজ করছেন। যেখানে পাঁচ বছর আগে এই সংখ্যা ছিল মাত্র ১০০।

মুশাফ বিমানঘাঁটিতে এক সাংবাদিককে আয়েশা বলেছেন, ‘আমি আলাদা কিছু ভাবি না। আমরা সবাই এক। একই প্রশিক্ষণ, একই চ্যালেঞ্জ। আমাদের অঞ্চলের ভূরাজনৈতিক অবস্থান এবং সন্ত্রাসবাদের হুমকির কারণে আমাদের সদাপ্রস্তুত থাকতে হয়।’ তার কথায় স্পষ্ট, এই পেশায় তিনি সৌন্দর্য বা আরাম খুঁজতে আসেননি, এসেছেন দেশকে রক্ষা করতে।

ভারতের হামলায় পাকিস্তানের ১১ সেনা নিহত: পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, ভারতের সাম্প্রতিক হামলায় পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীর ১১ সদস্য প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৭৮ জন। একই সঙ্গে হামলায় সাতজন নারী ও ১৫ শিশুসহ মোট ৪০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। নিহত সেনাদের মধ্যে রয়েছেন নায়েক আবদুল রেহমান, ল্যান্স নায়েক দিলাওয়ার খান, ল্যান্স নায়েক ইকরামুল্লা, নায়েক ওয়াকার খালিদ, সিপাহি মুহাম্মদ আদিল আকবর এবং সিপাহি নিসার।

এছাড়া বিমানবাহিনীর নিহতদের মধ্যে রয়েছেন স্কোয়াড্রন লিডার উসমান ইউসুফ, চিফ টেকনিশিয়ান আওরঙ্গজেব, সিনিয়র টেকনিশিয়ান নাজিব, করপোরাল টেকনিশিয়ান ফারুক ও সিনিয়র টেকনিশিয়ান মুবাশির।

উল্লেখ্য, ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে একটি বন্দুকধারীর হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় ভারত পাকিস্তানের ওপর দায় চাপায়। এর জেরে ইসলামাবাদে সামরিক অভিযান চালায় দিল্লি। সেই ঘটনার পালটা প্রতিক্রিয়াতেই পাকিস্তান তাদের সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেয়। চার দিনব্যাপী টানা সংঘাতের পর ১০ মে (শনিবার) যুদ্ধবিরতি হয় ভারত-পাকিস্তানে।

মোদির ভাষণ শেষ হতেই কাশ্মীর-পাঞ্জাবে ড্রোন ও বিস্ফোরণ: পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে জাতির উদ্দেশে সোমবার রাত ৮টায় (স্থানীয় সময়) প্রথমবার ভাষণ দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার ভাষণ শেষ হওয়ার পরপরই ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের সাম্বা জেলা এবং পাঞ্জাবের জলন্ধরে ড্রোনের গতিবিধি লক্ষ করা যায়। ঘটনার পরপরই সাম্বা, পাঠানকোট ও আশপাশের এলাকায় সতর্কতা হিসাবে ব্ল্যাকআউট কার্যকর করা হয়।

সাম্বা থেকে পাওয়া ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, আকাশে লাল রঙের রেখা ও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে। যা ভারতীয় বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সক্রিয় প্রতিক্রিয়ার প্রমাণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। ড্রোন শনাক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিরক্ষা বাহিনী সেগুলোর দিকে গুলি ছুড়ে প্রতিরোধের চেষ্টা করে। হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ড্রোনের গতিবিধি এবং বিস্ফোরণের ঘটনার পর সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোতে নিরাপত্তা বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। সৌজন্যে যুগান্তর

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles