
মাত্র ৮৭ ঘণ্টা স্থায়ী যুদ্ধের পর দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশ ভারত ও পাকিস্তান নাটকীয়ভাবে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। এবারের সংঘাতে পাকিস্তানের চেয়ে ভারতের ক্ষতি ২২ গুণ বেশি বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারত-পাকিস্তান সংঘাত শুধু যুদ্ধক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ ছিল না, তা কাঁপিয়ে দিয়েছে অর্থনীতি, বিনিয়োগ ও আকাশপথ। এই যুদ্ধের মূল্য মেটাতে হয়েছে প্রতি ঘণ্টায় এক বিলিয়ন ডলারের ক্ষতিতে।
ভারতের স্টক মার্কেট, আকাশপথ ও বিনিয়োগে বড় ধরনের পতন হয়। ৮৭ ঘণ্টা ২৫ মিনিট ধরে চলা এই সংঘাতের মধ্যে, ভারতের নিফটি ৫০ ও বিএসই সেনসেক্স সূচকগুলো মিলিয়ে ৮২ বিলিয়ন ডলার মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন হারায়।
উত্তর ভারতের আকাশপথ বন্ধ থাকায় প্রতিদিন আট মিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য বিমান ক্ষতি হয়। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) স্থগিত হওয়ায় ৫০ মিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয় টিভি স্বত্ব, টিকিট বিক্রি ও বিজ্ঞাপন থেকে।
সামরিক অভিযানে খরচ পড়ে ১০০ মিলিয়ন ডলার, রাফায়েল যুদ্ধবিমানের ক্ষতির মূল্য ৪০০ মিলিয়ন ডলার। পণ্য পরিবহন ও সরবরাহ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হওয়ায় ক্ষতি দাঁড়ায় দুই বিলিয়ন ডলার।
বিনিয়োগকারীদের আস্থা হারানো ও সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ (এফডিআই) কমার ফলে প্রভাব পড়ে অতিরিক্তভাবে। মোট ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক ৮৩ বিলিয়ন ডলার।
অন্যদিকে একই সময়ে পাকিস্তানের কেএসই-১০০ সূচক ৪.১ শতাংশ কমে যাওয়ায় প্রায় ২.৫ বিলিয়ন ডলার হারায়। পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) স্থগিত হওয়ায় ১০ মিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয় সম্প্রচার ও সম্পর্কিত খাত থেকে। আকাশপথ বন্ধ থাকায় বিমান খাতে ২০ মিলিয়ন ডলার লোকসান হয়।
সামরিক অভিযানে দৈনিক ২৫ মিলিয়ন ডলার, ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারে (বেরাখটার এবং রাদ এএলসিএম) খরচ হয় ৩০০ মিলিয়ন ডলার। বিনিয়োগ আস্থা কমে গেলেও তা পরিমাপ করা যায়নি।
পাকিস্তানের মোট ক্ষতি দাঁড়ায় প্রায় চার বিলিয়ন ডলার। সেই হিসাবে এই সংঘাতে পাকিস্তানের চেয়ে ভারতের ক্ষতি হয়েছে প্রায় ২২ গুণ বেশি।