
অনুষ্কা শর্মা ও বিরাট কোহলির একটি ভিডিও হঠাৎই ভাইরাল হয়েছে সোশাল মিডিয়ায়। যা দেখে গুঞ্জনপাড়ায় রটে গিয়েছে, অনুষ্কা ও বিরাটের সুখের সংসারে হঠাৎই কালো ছায়া। হঠাৎই দুজনের সম্পর্কে চিড়! আর এর নেপথ্যে নাকি রয়েছেন বিরাট কোহলি এবং অভনীত কৌর!
ব্য়াপারটা একটু বিশদে বলা যাক বরং। কয়েকদিন আগেই খবরে রটে যায়, বিরাট কোহলি নাকি অভিনেত্রী অভনীত কৌরের ইনস্টাগ্রাম ছবি দেখে লাইকের পর লাইক দিয়েছেন। তবে এরকম ঘটনা একেবারেই অস্বীকার করেছেন বিরাট। বিরাট নিজেই জানিয়ে ছিলেন সোশাল মিডিয়ার অ্যালগোরিদমের জন্যই এমনটা ঘটেছে। তিনি নিজে থেকে কিছুই করেননি।
গুঞ্জনে রয়েছে, এই ঘটনার পর থেকেই বিরাটের উপর নাকি একটু রেগে রয়েছেন অনুষ্কা। আর সেই কারণে নাকি বিরাটের থেকে দূরত্বও রাখছেন তিনি। আর তার প্রতিফলন দেখা গিয়েছে, অনুষ্কা ও বিরাটের এই ভাইরাল ভিডিওতে। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, তারা কিছুটা দূরত্ব বজায় রেখে হাঁটছেন এবং একে অপরের সঙ্গে খুব একটা ঘনিষ্ঠ আচরণ করছেন না।
ঘটনাটি ঘটেছে বেঙ্গালুরুতে। সেই ভিডিওতে দেখা যায়, বিরাট গাড়ির দরজা খুলে আনুশকাকে সহায়তা করতে হাত বাড়ালেও আনুশকা তার হাত না ধরে দরজার সাপোর্ট নিয়ে নেমে যান। এরপর বিরাটের থেকে কয়েক কদম সামনে গিয়ে রেস্টুরেন্টের দিকে হেঁটে এগিয়ে যান। এই দৃশ্যকে কেন্দ্র করে শুরু হয় আলোচনা।
ঘটনাটি এমন সময় সামনে আসে, যখন বিরাট কোহলিকে নিয়ে অভনিত কৌরের একটি ভক্ত পেজে ‘লাইক’ দেওয়া নিয়ে বিতর্ক ছড়ায়। যদিও পরে তিনি সেই লাইক তুলে নেন এবং ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে বিষয়টি পরিষ্কারও করেন, কিন্তু ততক্ষণে ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায়।
তবে নেটিজেনরা বিষয়টিকে সিরিয়াসলি নিয়েছেন। কেউ লিখেছেন, ‘ভাবি রেগে আছেন মনে হচ্ছে’, আবার কেউ মজা করে লেখেন, ‘অভনিত কাণ্ডের পর ভাইয়ের অবস্থা ভালো না।’ আরেকজন লেখেছেন, ‘অভিনিত কৌরের কাণ্ডের পর ভাবী রেগে গেছেন।’
ঘটনার সূত্রপাত বিরাট কোহলির ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে। তিনি অভিনেত্রী অভনিত কৌরের এক ফ্যান পেজের একটি পোস্টে ‘লাইক’ করেন। পরে অবশ্য সেই লাইক তুলে নেওয়া হয়, কিন্তু তার আগেই বিষয়টি ভাইরাল হয়ে যায়। এ নিয়ে গুঞ্জন থামাতে বিরাট তার ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে একটি ব্যাখ্যাও দেন।
তবে বেঙ্গালুরুর বিরাট-আনুশকার ভিডিওটি নিয়ে যেসব আলোচনা চলছে তা অতিরঞ্জিতও হতে পারে। তারা হয়তো ব্যক্তিগত কোনো চাপের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন বা খারাপ মুডে ছিলেন। আনুশকা ও বিরাট বহুবার প্রমাণ করেছেন যে তারা একে অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও সহনশীল। আর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বরাবরই সংযত থেকেছেন তারা। অতীতে তাদের ভালোবাসা ও সম্পর্কের দৃঢ়তা বারবার প্রকাশ পেয়েছে।