
গায়িকা ও ইনফ্লুয়েন্সার বর্ষা চৌধুরীর ব্যক্তিগত জীবন একাধিকবার এসেছে আলোচনায়। দুই বছর আগে তার দ্বিতীয় স্বামী ব্যান্ডশিল্পী রুমি রহমানের মৃত্যুতে ভেঙে পড়েন বর্ষা। তখন তাদের সন্তান ছিল মাত্র দেড় মাস বয়সী। রুমির সঙ্গে এটি ছিল বর্ষার দ্বিতীয় সংসারও। রুমির মৃত্যুর পর বর্ষা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রায়ই আবেগঘন পোস্ট দিতেন, যেগুলো অনেকেই সহানুভূতির চোখে দেখতেন। কিন্তু চলতি বছরের ১৬ মার্চ হঠাৎ করে বর্ষা তৃতীয়বার বিয়ে করেন—এবারের বর ঢাকাই সিনেমার অভিনেতা রাসেল মিয়া। বিয়ের পর শুরুতে তাদের সম্পর্ক ভালো চললেও গত মাসে নতুন করে বিতর্কে জড়ান বর্ষা। ৬৫ লাখ টাকা যৌতুক চাওয়ার অভিযোগে বর্ষা রাসেলের বিরুদ্ধে সবুজবাগ থানায় মামলা করেন। এরপর রাসেল মিয়া ফেসবুক লাইভে আত্মপক্ষ সমর্থন করে স্বেচ্ছায় থানায় আত্মসমর্পণ করেন।
এদিকে বুধবার (৭ মে) দুপুর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে বর্ষা চৌধুরীর মৃত্যুর খবর।
এদিন বর্ষার ফেসবুক পেজ থেকে দাবি করা হয়, তিনি মারা গেছেন। এরপরই অপর এক ফেসবুক পোস্টে তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন নারী উদ্যোক্তা ও সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার বারিশা হক। মুহূর্তের মধ্যে ঝড়ের গতিতে ছড়িয়ে পড়ে সেই খবর। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বর্ষার মৃত্যুর খবরে সয়লাব হয়ে ওঠে।
এর কিছুক্ষণ পরই আরেকটি পোস্ট করেন বারিশা। যেখানে পরিবারের বরাত দিয়ে তিনি জানান, বর্ষা চৌধুরী মারা যাননি। বারিশা আরও দাবি করেন, বর্ষা চৌধুরীর ফেসবুক পেজ থেকে কে মৃত্যুর খবর পোস্ট করেছেন, সেটাও তিনি জানেন না।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যখন বর্ষার মৃত্যুর গুজবে উত্তাল তখন এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে আলোচিত এই নারীকে সাবধান করেছেন চিত্রনায়িকা পরীমণি। তিনি লিখেছেন, ‘রাখাল আর বাঘের গল্পের মতো না হোক কোনোদিন। মৃত্যু নিয়ে এমন মজা আর নিয়েন না বা কাউকে নেওয়ার সুযোগও দিয়েন না ডিয়ার বর্ষা চৌধুরী। যেদিন সত্যি আপনি চলে যাবেন সেদিন আপনার জন্য শোক প্রকাশের জায়গাটা রাখেন অন্তত। জীবন সুন্দর হোক।’