
পড়াশোনার ফাঁকেই একে অপরকে ভালবেসে ফেলেছিলেন। অবশেষে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রের হাত ধরেই পালিয়ে গেলেন ২৩ বছরের শিক্ষিকা। চারদিন পর ভিন রাজ্য থেকে তাঁদের আটক করেছে পুলিশ। কেন পালিয়ে গিয়েছিলেন, শিক্ষিকার মুখে বর্ণনা শুনে চমকে গেল পুলিশ।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাটের সুরাটে। পুলিশ জানিয়েছে, গত তিন বছর ধরে প্রাইভেট শিক্ষিকার কাছে পড়তে যেতেন ওই পড়ুয়া। ২৫ এপ্রিল বিকেলে প্রকাশ্যেই ১১ বছরের নাবালকের সঙ্গে পালিয়ে যান শিক্ষিকা। সকলে ভেবেছিলেন, তাঁরা হয়তো কোথাও ঘুরতে যাচ্ছেন। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ না ফেরায় সকলের দুশ্চিন্তা শুরু হয়। অবশেষে পুলিশে খবর দেয় পরিবার। চারদিন একটানা তল্লাশি চালানোর পর মহারাষ্ট্রের রায়গড় থেকে তাঁদের উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, প্রথমে শিক্ষিকার ফোনের লোকেশন দেখে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। কিন্তু দু’দিন পর তাঁর ফোন বন্ধ থাকায়, আর লোকেশন পাওয়া যায়নি। সমস্ত রেল স্টেশনে এবং বাসস্ট্যান্ডের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়। তখনই পুলিশের সন্দেহ হয়, সম্ভবত বেসরকারি বাসেই তাঁরা পালিয়ে গিয়েছেন। শিক্ষিকার আরও একটি নম্বরের খবর পেয়ে লোকেশন খুঁজে বের করা হয়।
চারদিন পর অবশেষে রায়গড়ের একটি চলন্ত বাস থেকে শিক্ষিকা ও নাবালক ছাত্রকে উদ্ধার করে পুলিশ। জেরায় শিক্ষিকা জানিয়েছেন, তাঁর উপর বিয়ের চাপ ছিল। তা তিনি সহ্য করতে পারছিলেন না। পাশাপাশি পড়ুয়া জানিয়েছে, পড়াশোনার জন্য পরিবার অত্যধিক চাপ দিতে। তাই নাজেহাল হয়ে শিক্ষিকার সঙ্গে পালিয়ে যায়।
তথ্যসূত্র: আজকাল অনলাইন