
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পুলিশের একটি অনুষ্ঠানে জামাতে ইসলামির জেলা নায়েবে আমির কর্তৃক একজন মুক্তিযোদ্ধার বক্তব্যে বাঁধা দেবার ঘটনা নিন্দনীয় এবং ভবিষ্যতে রাজনৈতিক ইস্যু হিসেবে ব্যবহৃত হবে। আমি চোখ বন্ধ করে বলে দিতে পারি দেশের যত জায়গায় এ ধরনের ঘটনা ঘটছে সবগুলো নোট করে রাখা হচ্ছে এবং আগামী দিনের আন্দোলন সংগ্রামে এগুলো সবার আগে উচ্চারিত হবে এবং আন্দোলনের স্ফুলিংগ হিসেবে ব্যবহৃত হবে।
আমি বিশ্বাস করি দেশের সব রাজনৈতিক দলেই কিছু লোক আছেন যারা দেশে শান্তি চান। তারা কোন বড় নেতা হতে চান না, পদ পদবী, প্রমোশন চান না, দলকে মন থেকে ভালবাসেন। তারা দেশে শান্তি চান। শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকলে, আইনের শাসন ও জবাবদিহিতা বজায় থাকলে অধিকাংশ মানুষের জন্যে জীবন পরিচালনা করা সহজ হয়। যারা পরিশ্রম করে, লেখাপড়া করে নিজের মেধা যোগ্যতা দিয়ে বড় হতে চায়, সন্তানকে বড় করতে চান, নিজে শান্তিপূর্ণ অবসর কাটাতে চান তারা দেশে বার বার হরতাল, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, হামলা মামলা, গণঅভ্যুত্থানের পুনরাবৃত্তি চান না।
কিন্তু যারা পরগাছা, শর্টকাটে ধনী হতে চায়, শান্তি বজায় থাকলে যাদের না খেয়ে মরতে হবে, তারাই চায় অরাজকতা, অস্থিতিশীলতা এবং এমন কিছু সুতার আল, যে আল ধরে টান দিলে চারিদিকে আগুন জ্বলে উঠে।
কাজেই দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দলের নেতাদের উচিত হবে নিজ দলের নেতা কর্মীদের শাসন করা, বুঝানো, এমন কোন কাজ ও কথা থেকে বিরত থাকা যাতে আগুন জ্বলে না উঠে।
আমরা আর কত গাইবো, “আগুন জ্বলেরে, নিভানোর মানুষ নাই”!
আগুন জ্বালানোর লোকের চেয়ে আগুন নেভানোর মানুষ বেশী বেশী দরকার। তা সে যে দলেরই হোক না কেন!
স্কারবোরো, কানাডা