7.4 C
Toronto
মঙ্গলবার, এপ্রিল ২৯, ২০২৫

কারনির কার্বন প্রাইস বাতিল নিয়ে বিতর্কের অবসান ঘটেনি

কারনির কার্বন প্রাইস বাতিল নিয়ে বিতর্কের অবসান ঘটেনি - the Bengali Times
ভোক্তা পর্যায়ে কার্বন প্রাইসের অবসানের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী মার্ক কারনির শুক্রবারের উদ্যোগ দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক লড়াইয়ের ইতি ঘটাতে সামান্যই কাজে এসেছে

ভোক্তা পর্যায়ে কার্বন প্রাইসের অবসানের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী মার্ক কারনির শুক্রবারের উদ্যোগ দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক লড়াইয়ের ইতি ঘটাতে সামান্যই কাজে এসেছে। বরং কারনির জাকজমকভাবে দলিল স্বাক্ষর আরেক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। সেটা হচ্ছে যে কাগজ তিনি স্বাক্ষর করেছেন তা সত্যিকারের কিনা।

মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠক শেষে এই স্বাক্ষর অনুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করতে সাংবাদিকদের অনুমতি দিয়েছিলেন কারনি, যাতে করে ক্যামেরায় সেটা দেখানো হয়। এ সময় তিনি লাল রংয়ের একটি ফোল্ডার থেকে দলিলটি খোলেন এবং তাতে স্বাক্ষর করেন।

- Advertisement -

তিনি বলেন, আমার সহকর্মীদের পক্ষ থেকে এটা স্বাক্ষর করা আমার জন্য গৌরবের। পুরো মন্ত্রিসভা এ সময় প্রশংসা করেন।

কানাডিয়ান রাজনীতিতে এই দৃশ্য অস্বাভাবিক এবং গত দুই মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যেভাবে নির্বাহী আদেশ স্বাক্ষর করেছেন সেটাই মনে করিয়ে দিচ্ছে। এর ফলে কিছু কনজার্ভেটিভ কারনির বিরুদ্ধে ভুয়া দলিল স্বাক্ষরের অভিযোগ করেছেন।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী স্টিফেন হারপারের চিফ অব স্টাফের দায়িত্ব পালন করেছিলেন গাই জিওরনা। বর্তমানে তিনি আইনি প্রতিষ্ঠান ফাস্কেনেরর একজন অংশীদার। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে তিনি এ নিয়ে লিখেছেন, এই দলিলের আইনি কোনো কার্যকারিতা নেই।

কনজার্ভেটিভ এমপি মিশেল রেম্পেল গার্নার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে লিখেছেন, কার্বন কর এখনো বহাল আছে এবং মার্ক কারনি ভুয়া দলিল স্বাক্ষরে ব্যস্ত। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যেভাবে প্রতিদিনই নির্বাহী আদেশ স্বাক্ষরের অনুষ্ঠান করেন সেটা অনুসরণের চেষ্টা করছেন তিনি।

ইউনিভার্সিটি অব টরন্টোর মাঙ্ক স্কুল অব গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড পাবলিক পলিসির সিনিয়র ফেলো এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর তৎকালীন উপদেষ্টা টাইলার মেরেডিথ বলেন, কারনি আসলে যেটা স্বাক্ষর করেছেন সেটা হলো সিদ্ধান্তের রেকর্ড, যেটা আসলে নীতি পরিবর্তনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করার প্রথম পদক্ষেপ।

দলিল স্বাক্ষরের পরদিন অনলাইনে যে অর্ডর-ইন-কাউন্সিল প্রকাশিত হয়েছে তাতে ২০২৫ সালের ৩১ মার্চের পর থেকে সব ধরনের জ্বালানি ও দাহ্য বর্জ্যরে ক্ষেত্রে প্রযোজ্য জ¦ালানি মাশুল হবে শূণ্য। অর্ডার-ইন-কাউন্সিল হলো একটি আইনি ইন্সট্রুমেন্ট, যা পরিবর্তনকে কার্যকর করে এবং গভর্নর জেনারেল স্বাক্ষর করেন।

এসব ব্যাপারে মন্তব্যের জন্য রোববার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাৎক্ষণিক কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles