
রাশিয়া ও পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে স্নায়ুযুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় বন্দিবিনিময় হয়েছে। এতে উভয়পক্ষের মোট ২৬ জন মুক্তি পেয়েছেন। চুক্তির আওতায় রাশিয়ার কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন ১৬ জন। আর যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিভিন্ন দেশের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন ১০ জন।
এতেই মুক্তি পেয়েছেন আর্টেম ডাল্টসেভ ও অ্যানা ডাল্টসেভা। এরপরও কিন্তু তাদের ছেলেমেয়েরা জানতে পারেনি সত্যিটা কী। সোফিয়ার বয়স ১১, ড্যানিয়েলের ৮। মস্কো বিমানবন্দরে নামার আগে অবধি দুই ভাইবোন জানত, তারা আর্জেন্টিনার মানুষ, বাবা-মায়ের কর্মসূত্রে স্লোভেনিয়ায় বাস। কিন্তু মস্কো বিমানবন্দরে নেমে তারা হতবাক। চার দিকে লোকজন দাঁড়িয়ে তাদের স্বাগত জানাতে। আর সেই ভিড়ে রয়েছেন খোদ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
শুনলে মনে হবে ফিল্মের চিত্রনাট্য, কিন্তু এই ঘটনাই ঘটেছে। আর সেই গল্প শুনিয়েছেন খোদ ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকোভ। সোফিয়া ও ড্যানিয়েল জানত না তাদের মা-বাবা আসলে রুশ গুপ্তচর। বাবার ‘আর্টেম ডাল্টসেভ’ নামটাও তারা জানত কি না সন্দেহ। কারণ স্লোভেনিয়ায় তথ্যপ্রযুক্তি সংক্রান্ত ব্যবসায়ী পরিচয়ে ‘লুদভিগ গিচ’ নামে বাস করতেন আর্টেম। সে দেশে স্ত্রী অ্যানা ডাল্টসেভার নাম ছিল মারিয়া রোজ়া মেয়ার মুনোস। তিনি ছিলেন আর্ট ডিলার ও একটি গ্যালারির মালিক। সকলে জানতেন তারা আর্জেন্টিনার নাগরিক। কিন্ত ধরা পড়ে যান। গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে কারাদণ্ড হয়।
মুক্তির পরে সপরিবার তুরস্ক থেকে মস্কোগামী বিমান ধরেন আর্টেম। পেসকোভ জানান, আঙ্কারা থেকে বিমান মস্কোর উদ্দেশে রওনা দেওয়ার পরে সোফিয়া ও ড্যানিয়েল আন্দাজ পায়, তারা আসলে রুশ। তাদের বিমান যখন মস্কোয় নামে, তার আগে থেকেই টারমাকে উপস্থিত ছিলেন পুতিন। তিনি এগিয়ে গিয়ে স্প্যানিশে স্বাগত জানান দুই ভাইবোনকে।
গাজার দুই স্কুলে হামলায় ৩০ জন নিহতগাজার দুই স্কুলে হামলায় ৩০ জন নিহত
পেসকোভ বলেন, বাচ্চা দুটি সিঁড়ি দিয়ে নেমে আসে। ওরা রুশ ভাষা জানে না। পুতিন তাই এগিয়ে গিয়ে স্প্যানিশে বলেন ‘বুয়েনাস নোচেস’ (শুভ সন্ধ্যা)। পেসকোভ জানান, পরে বাচ্চা দুটি মা-বাবার কাছে জানতে চেয়েছিল, লোকটি কে। কারণ পুতিন কে, সেই ধারণাটুকুও ছিল না তাদের।