এবার ঢাকায় গিয়ে আমার অতীতের প্রিয় একজন নেতার নৈতিক স্খলনের খবর শুনে ব্যথিত হলাম। পত্রিকার মাধ্যমে জানলাম তিনি বিএনএম নামে একটি ভুঁইফোড় দলে যোগ দিয়ে ভারপ্রাপ্ত নেতা হয়েছেন। দীর্ঘদিন তাঁর সাথে যোগাযোগ ছিল না, পুরনো ফোন নম্বরে কল করে পেলাম না।
আকস্মিকভাবে আমার এক বন্ধুর কাছ থেকে তার ফোন নং পেয়ে কল দিলাম। দীর্ঘদিন পরে আমার ফোন পেয়ে কিছুটা অবাক হয়ে আমার কুশল জিজ্ঞেস করলেন, আমি ভণিতা না করে সরাসরি বললাম, ভাই, এইরকম একটা বাজে কাজ করা কি ঠিক হলো? লিডার আমার কাছ থেকে এতদিন পরে প্রথম কলেই এরকম প্রশ্ন আশা করেন নাই। কিছুটা থতমত খেয়ে ব্যাখা দিতে শুরু করলেন। বুঝলাম যা বলছেন সবই হতাশা থেকে। অপরপ্রান্তের হইচই শুনে বুঝলাম লিডারের নুতন অফিস সরগরম, বললাম, পরে কথা হবে। একটা সময় ছিল লিডারের সাথে দেখা না করে এয়ারপোর্ট লিভ করা হতো না।
আমার দেখা বাংলাদেশের নেতাদের মধ্যে তিনি একজন সত্যিকার বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং গণমানুষের নেতা। অথচ তাকে আজ পরিস্থিতি কোথায় নিয়ে গেছে যে তিনি বিএনএমের মত একটা পাতানো দলে যোগ দিলেন! গত ৭ তারিখের নির্বাচন নিয়ে দেশের মানুষের অনেকের অনেক ক্ষোভ। কিন্তু এই দুটো বিষয়ে আমার মনে হয় সারা বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের ১৭ কোটি ৯৯ লক্ষ নিরানব্বই হাজার মানুষ খুশী হয়েছেন। আর তা হলো সকল নব্য গজানো দলগুলোকে পায়খানার টিস্যুর মত ওয়ান টাইম ইউজ করে টয়লেট ফ্লাশ করে দেয়া হয়েছে। আর চিহ্নিত কিছু তথাকথিত নেতা যারা কৃত্রিম সংকটের বা জুজুর ভয় দেখিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ প্রমান করার দীর্ঘ প্রয়াস চালিয়ে অবশেষে গণধিকৃতভাবে পরাজিত হয়েছেন। তাদের নাম বলে এই লেখার কলেবর বৃদ্ধি করতে চাই না।
কাজেই ৭ই জানুয়ারীর নির্বাচন যতই সমালোচিত হোক, কয়েকজন ধিকৃত রাজনৈতিক নেতার পরাজয়ে বাংলাদেশের সকল দলের মানুষের একটা জায়গায় অন্ততঃ ঐকমত্য তৈরী হয়েছে যা মানুষ অনেক কষ্টের মধ্যেও খুশীর সাথে মনে রাখবে বহুদিন।
স্কারবোরো, কানাডা