-0 C
Toronto
শুক্রবার, মার্চ ২৯, ২০২৪

গাজীপুরে বেতন- বোনাস না পেয়ে কারখানার ভিতরে রাত্রিযাপন

গাজীপুরে বেতন- বোনাস না পেয়ে কারখানার ভিতরে রাত্রিযাপন - the Bengali Times

গাজীপুরের ভোগড়া এলাকায় একটি কারখানার শ্রমিকরা এপ্রিলের বেতন ও ঈদ বোনাস না পাওয়ায় শনিবার থেকে কারখানায় অবস্থান ধর্মঘট করছেন।

- Advertisement -

বেতন-বোনাস না পেয়ে শ্রমিকরা শনিবার রাতে থেকে আজও ভোগড়া এলাকার জিএম এন্ড জেসি কম্পোজিট লিমিটেড কারখানার ভেতরেই রয়েছেন। এনিয়ে রোববার সকালেও কারখানায় শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ চলছিল।

কারখানার কয়েকজন শ্রমিক জানান, তারা এ কারখানায় সাড়ে চার বছর ধরে চাকুরি করছেন। শনিবার লাঞ্চের পর কারখানায় চলতি এপ্রিলের বেতন ও ঈদ বোনাস দেয়ার কথা ছিল। আগের দিন তারা ঈদ উপলক্ষে নিজ বাড়ির মতো করে কারখানার ভেতরে রঙ্গিন কাগজ দিয়ে সাজিয়েছিল। শনিবার সকালে তারা কারখানায় সেজে-গুজে কাজে যোগ দেন। দুপুরের পর বেতন ও ঈদ বোনাস নিয়ে তারা বাড়ি যাবেন এমন আনন্দ-উদ্দীপনা কাজ করছিল তাদের মনে। কিন্তু কিছু বুঝতে না দিয়ে দুপুরের আগেই কারখানার কর্মকর্তারা আমাদের বেতন-বোনাস না দিয়ে একে একে গাঁ ঢাকা দেন। দুপুরের পর শ্রমিকরা যখন বেতন-বোনাসের জন্য অপক্ষো করতে থাকে তখন তারা জানতে পারেন তাদের পাওনা দেয়ার মতো কারখানার কেউ নেই। অথচ সকালে তারা সবাই কারখানায় ছিলেন। এ কথা শুনে শ্রমিকদের ঈদের আনন্দে ছেদ ঘটে, তাদের মধ্যে অসন্তোষ শুরু হয়। বিক্ষোভ করেন তারা। সন্ধ্যায়ও বেতন-বোনাস না পেয়ে তারা দোকান থেকে বিস্কুট-পানি খেয়ে ইফতার করেন এবং উত্তরায় মালিকের বাসায় যান। সেখানেও তাকে না পেয়ে তারা রাত আড়াইটার দিকে কারখানায় ফিরে যান এবং সেখানেই রাতযাপন করেন। পানি ও শুকনা খাবার খেয়ে তারা রোজা (সেহেরী) রাখেন। রোববার সকালেও কারখানা অবস্থান করছেন।

শ্রমিক স্বপ্না, রুপালি জানান, বেতন-বোনাস নিয়ে গ্রামের বাড়িতে স্বজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবো এমনটিই আশা ছিল। কিন্তু কারখানায় পাওনা নিতে গিয়ে আমাদের সেই আনন্দটাই মাটি হয়ে গেল। স্ত্রী-সন্তানেরা আমার জন্য অপেক্ষা করছি। আর আমি কারখানায় বেতন- বোনাসের জন্য খেয়ে-না খেয়ে বসে আছি।

কারখানার হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মো. মোফাজ্জল হোসেন জানান, কারখানায় অর্থ সংকটের কারণে সাবলেটে কাজ করিয়ে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা দেয়া হয়। কিন্তু এবার ঈদের আগে ব্যাংকিং সমস্যার কারণে টাকা তুলতে না পারায় কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দিতে পারেননি।

গাজীপুর মেট্রোর উপ পুলিশ কমিশনার মো. জাকির হাসান জানান, আমরাও মালিককে খুঁজছি। কিন্তু তাকে পাচ্ছি না। তাই রোববার দুপুরের মধ্যে বিকল্প উপায়ে শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের পরিকল্পনা করা হয়েছে।

সূত্র : আমাদের সময়

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles