7.9 C
Toronto
বুধবার, এপ্রিল ২৪, ২০২৪

আকুপাংচারিস্টদের নিয়ন্ত্রণ বন্ধের পরিকল্পনা

আকুপাংচারিস্টদের নিয়ন্ত্রণ বন্ধের পরিকল্পনা - the Bengali Times
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ক্রিস্টিন এলিয়টের মুখপাত্র আলেক্স্যান্ডার হিলকেইন এ প্রসঙ্গে বলেন ঐতিহ্যবাহী চীনা ওষুধ ও আকুপাংচার নিয়ে চর্চা শত শত বছর ধরে নিরাপদে চলে আসছে

ঐতিহ্যবাহী চীনা ওষুধ নিয়ে কাজ করা চিকিৎসক ও আকুপাংচারিস্টদের ওপর নিয়ন্ত্রণ বন্ধের পরিকল্পনা করছে অন্টারিও। এর ফলে আরও অধিক সংখ্যক মানুষ খাতটিতে কাজ করার সুযোগ পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও এ পেশায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের দাবি, বিষয়টি নিয়ে তাদের সঙ্গে কোনো পরামর্শ করা হয়নি।

সম্প্রতি উত্থাপিত আইনের একটি অনুচ্ছেদে কলেজ অব ট্র্যাডিশনাল চাইনিজ মেডিসিন প্র্যাক্টিশনার্স অ্যান্ড আকুপাংচারিস্টস অব অন্টারিওর কার্যক্রম গুটিয়ে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এটিই এই পেশা নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান, যা প্রতিষ্ঠা হয় ২০১৩ সালে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ক্রিস্টিন এলিয়টের মুখপাত্র আলেক্স্যান্ডার হিলকেইন এ প্রসঙ্গে বলেন, ঐতিহ্যবাহী চীনা ওষুধ ও আকুপাংচার নিয়ে চর্চা শত শত বছর ধরে নিরাপদে চলে আসছে। এই আইনের ফলে অন্টারিও এই চর্চা করতে গিয়ে যারা বাধার মুখে পড়বেন তাদেরকে সহায়তা দেবে।

- Advertisement -

এই পদক্ষেপে অবাক হয়েছেন অন্টারিওতে এই পেশার সঙ্গে যুক্তদের প্রতিনিধিত্বকারী সংস্থা ট্র্যাডিশনাল মেডিসিন অন্টারিওর প্রেসিডেন্ট হিদার কেনি। তিনি বলেন, এ পদক্ষেপের ফলে আমাদের ব্যথিত হওয়ার কারণ হলো বিষয়টি সরকারের তরফ থেকে আমাদের সঙ্গে কোনো আলোচনাই করা হয়নি। এ ধরনের একটা পদক্ষেপের কখা যে তারা ভাবছে সেটাও আমাদের জানানো হয়নি। ঐতিহ্যবাহী চীনা চিকিৎসা ও আকুপাংচার অন্টারিওতে ক্রমেই জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। সুনির্দিষ্ট কিছু মানদন্ড নিশ্চিত করতে নিয়ন্ত্রণকারী কলেজও রয়েছে। কীভাবে আপনি রোগীকে চিকিৎসা দেবেন সে সংক্রান্ত কিছু কঠোর নিয়ম-কানুন, কাক্সিক্ষত মাত্রায় যোগ্যতা ও নৈতিকতা প্রয়োজন।

আইনটি যখন প্রথম উত্থাপন করা হয় তখন এই চিকিৎসার সঙ্গে জড়িত কারও কারও মন্তব্য ছিল, স্কুলের পরিবর্তে কেউ যদি পূর্বসূরীদের কাছ থেকে এটা শিখে থাকেন অথবা ইংরেজি বলতে না পারেন তাহলে হয়তো তিনি এই পেশা থেকে বঞ্চিত হবেন।
কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেছিল লিবারেল পার্টি। জনস্বার্থ রক্ষার্থেই এটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল জানিয়ে হাউসে লিবারেল নেতা জন ফ্রেজার বলেন, স্বাস্থ্যসেবা খাতে নিয়ন্ত্রক কলেজ ও বিধিবিধানের প্রথম উদ্দেশ্য হলো রোগীর সুরক্সা ও জনস্বার্থ রক্সা করা। তাই কলেজটি বাদ দিয়ে কীভাবে জনস্বার্থ রক্ষিত হবে সেটা আমার কাছে বোধগম্য হচ্ছে না। আমি এটা ঠিক বুঝতে পারছি না।
এই পরিবর্তনে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এনডিপি নেতা আন্দ্রিয়া হরওয়াথও।
This article was written by Sohely Ahmed Sweety as part of the Local Journalism Initiative.

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles