বৃষ্টি আইনেই জিততে হলো বাংলাদেশকে। অবশ্য এমনটা অনুমিতই ছিল। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৭ উইকেটে ১৩৫ রান করার পর বৃষ্টিতে থেমে যায় খেলা। ম্যাচ জয়ে ১৭ বলে তখনও তাদের দরকার ৫০ রান। ৩০ মিনিট বাড়ানো হয় খেলার সময়। তাতেও খেলা শুরু করা যায়নি। শেষ পর্যন্ত বৃষ্টি আইনে ১৯ রানে জয় পাবে সাকিব আল হাসানের দল। তাতে ২-১ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতলো বাংলাদেশ। টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর ওয়ানডের সাথে সাথে টি-টোয়েন্টি সিরিজও জিতলো বাংলাদেশ।
ফ্লোরিডার লডারহিলে বাংলাদেশের দেওয়া ১৮৫ রানের টার্গেটে চলতি সিরিজের সর্বোচ্চ সংগ্রহ। এ ম্যাচ জিততে হলে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে সিরিজের বেশকিছু রের্কডও করতে হতো। ২১ বলে ছয় ছক্কা আর এক বাউন্ডারিতে দলকে সেই আশার আলোই দেখাচ্ছিলো। জয়ের পথেই নিয়ে যাচ্ছিলেন আন্দ্রে রাসেল। দলের ১৩৫ রানে তাকে ফিরিয়ে দিয়ে ম্যাচটি নিজেদের নাগালে নিয়ে আসেন মুস্তাফিজুর রহমান। তার ফুল টসের বল সীমানার বাইরে উড়িয়ে মারতে গিয়ে আরিফুলের তালুবন্দি হন রাসেল। ১৩৫ রানে ৭ উইকেট হারানো অবস্থায় বৃষ্টিতে থেমে যায় খেলা।
এর আগে, ম্যাচ সেরা লিটন দাসের ফিফটি এবং শেষদিকে মাহমুদুল্লাহ-আরিফুলের মারকুটে ব্যাটিং বাংলাদেশকে জয়ের র্টাগেট এনে দেয়। অবশ্য গত বছরই ভারতের বিপক্ষে ১৮৫ বা তারচেয়ে বেশি রান করে জয়ের রের্কড গড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেবার অবশ্য সেবার এভিন লুইস ৬২ বলে অপরাজিত ১২৫ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন। কিন্তু আজকের ম্যাচে তিনি ছিলেন না।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ইনিংসের চতুর্থ ওভারে ফ্লেচারকে ফিরিয়ে দেন মুস্তাফিজুর রহমান। ৭ বলে ৬ রান করে ফেরেন তিনি। এরপর দ্রুত ফিরে যান চ্যাডউইক ওয়ালটন। নাজমুল ইসলাম অপুর অসমাপ্ত ওভার শেষ করতে এসে সৌম্য সরকারের বলে সাব্বিরের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান ১৯ বলে ১৯ রান করা ওয়ালটন। মারলন স্যামুয়েলসকে বোল্ড করেন বাংলাদেশ দলের ক্যাপটেন সাকিব আল হাসান। আউট হওয়ার আগে ৪ বলে মাত্র ২ রান সংগ্রহ করেন।
বিপদজনক হয়ে ওঠা দিনেশ রামদিনকে বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান রুবেল হোসেন। বোল্ড হওয়ার আগে তিনি ১৮ বলে ২১ রান করেন। ২০ বলে ২৩ রান করা রোভমান পাওয়েলকে আবু হায়দার রনির ক্যাচে পরিণত করেন মুস্তাফিজ।