০ তোমার শূন্যতার দিন
তুমি ফিরেছো দুঃসহ অভিমান শেষে।
আমি অনিমেষ অপেক্ষা করেছি তোমার ফেরার,
শূন্য সময়গুলো ভরে যাবার অপেক্ষা।
প্রণয় আর আলিঙ্গনের কিছুকথা শোনার অপেক্ষা,
আর অলিখিত বন্ধনের অপেক্ষা।
তুমি ভুলবুঝে আছো, অকারণেই ভিজে উঠছে চোখ
আর বুকের ভিতর উথাল পাথাল কষ্টে-
স্তব্ধ হয়ে গেছে সব আনন্দ-নিকেতন আমার।
কেমন সহজে তুমি ফোটালে ফুল, বিরান মরুধ্যানে-
হটাত জ্বালিয়ে দিলে অগুনতি আলোর তারা।
অহর্নিশ উচ্ছাসে ভেসে গেলো সব বিষণ্ণতার ভার।
এমন ঝড় প্রেমে পড়িনি তো কখনো আমি
এমন ছটফটে অস্থিরতায় কাটেনি তো সময় কখনো
এমন বিভোর নেশায় ভাঙ্গেনি তো অবরুদ্ধ মন
এমন তুমুল তৃষ্ণায় তোলপাড় করেনি তো বুক
সবকিছু এভাবে রাঙিয়ে দিয়েছ আমার-
এর বিকল্প কিছু চাইনা তো আর।
তোমাকে ঘিরে আবর্তিত আমার নতুন পৃথিবী
সারাক্ষন ভরে থাক আবারো আমুল প্রগলভতায়।
০ বায়বীয় অনুক্ষণ
অক্ষ ও নিরক্ষের সমীকরণ ভুলে খুব কাছে আসা
বৃত্তের বাইরে যাওয়া কি এতোটাই দুর!
নিভৃতচারী’ আমাকে বদলে দিলে তুমি বাজিয়ে
কি এক অবিনাশী কথার সুর।
পলকে মুছে গেলো সময়ের ভুল হিসেব নিকেশ
অনুরাগ অভিমানে সব একাকার--
বিস্মৃতির পালে দুলে উঠা সকাল-বিকেল’ তাই
ফিরে ফিরে তোমাকে পোড়াবে বারবার।
না ছুয়ে তোমাকে ছোঁয়া’র সেই বায়বীয় অনুক্ষণে
তুমি যতোই ফেরাও মুখ,
পুনঃজন্ম পাওয়া কথোপকথনে খোঁজ জানি
কি এক অপার্থিব সুখ।
০ অসমাপ্ত প্রত্যাশা
নিঃসীম সীমান্ত থেকে একমুঠো নীল তোমাকে দিলাম
তুমি বললে, নীল নয় লালীমার লাল দাও-
লাল ভালোবাসার রঙ, নীল বেদনার।
শুনে, অবারিত পঙক্তিমালা অনুরণ তুলে ছেলেটির কম্পিত বুকে।
আর ছাই চাপা দগ্ধতা ফোটে চোখের তারায়,
তবুও হয়না বলা, লাল নীল সবকিছু শুধু তোমারি জন্য।
কি এক অপাংক্তেয় প্রত্যাশায়—
অপ্রাসঙ্গিক কথোপকথনে কেটে যায় দীর্ঘ সময়,
শুধু শিহরিত আলোড়ন জাগে মেয়েটির সব নিউরনে।
সকাল, দুপুর আর সিগ্ধ বিকেল পূর্ণ হয় এলোমেলো প্রগলভতায়-
সঙ্গোপনে অচেনা ভুবন হয় ব্যাকুল সম্ভাবনার,
আন্দোলিত সংকোচ বিপন্ন হয়ে যায় অমিত সুধায়।
শূন্য সভ্যতা আর সমাজের নিকশ আঁধার ছেয়ে
কেবলই ভালোবাসার প্রতিবিম্বে এসো,
ত্যাগ আর তৃষ্ণায় মেটাব সব অসমাপ্ত প্রত্যাশা।